জৈদুল সেখ, মুর্শিদাবাদঃ
মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দি মহকুমা কংগ্রেসের দীর্ঘদিনের শক্ত ঘাঁটি নামে পরিচিত হলেও বিরোধী হিসাবে বামেদের ভূমিকা অপরিসীম। বিশেষ করে সাধারণ মানুষের দাবি দাওয়া নিয়ে আন্দোলন এবং ধর্মঘটে সিপিএমের ভূমিকা সর্বাধিক থাকলেও গত দশ বছরে তৃণমূল আসার পর সিপিএমের নেতা কর্মীদের অবস্থা এসইউসিআই সংগঠনের চেয়েও শোচনীয় হয়ে উঠেছে। তার প্রমাণ পাওয়া গেল সোমবারের ধর্মঘটে।
উল্লেখ্য, কেন্দ্রের তিন নয়া কৃষি আইন প্রত্যাহারের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে কৃষক সংগঠনগুলি। নেতৃত্বে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা। দেশের বিভিন্ন জায়গায় কৃষকদের প্রতিবাদ বিক্ষোভ চলছে। স্তব্ধ যানচলাচল। কৃষক সংগঠনের ডাকা এই ধর্মঘটকে সমর্থন জানিয়েছে বামেরাও। নয়াকৃষি আইন, শিক্ষানীতি, বিদুৎ বিলসহ একাধিক দাবি-দাওয়া নিয়ে এই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বামপন্থী কৃষক সংগঠন। সেই শ্রমিক ধর্মঘট সফল করবার জন্য কান্দি শহর জুড়ে বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করল এসইউসিআই কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যরা।
সকাল আটটা থেকে কান্দি, ভরতপুর, সালার এবং বড়ঞা বামপন্থী সংগঠন গুলোকে ধর্মঘট সফল করতে রাস্তায় নামতে দেখা যায়। কান্দির পেট্রোল পাম্প মোড় থেকে মিছিল শুরু করে কান্দি বাস স্ট্যান্ডে পুলিশি বাধাকে অতিক্রম করেও বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন এসইউসিআই সংগঠনের কর্মীরা।
আরও পড়ুনঃ বনধের জেরে সাগরদিঘীতে মিলছে না বাস, দুর্ভোগে যাত্রীরা
তাছাড়াও কান্দি শহরের ভিতরে বিক্ষোভ মিছিল করেন এসইউসিআই কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্ব সুখেন হালদার, শ্রীকান্ত দাস, দিলিপ সেখ। পাশাপাশি একই কর্মসূচি নিতে দেখা যায় বামপন্থী সিপিআই-এর পক্ষ থেকে কিন্তু কান্দিতে সিপিএমের নেতৃত্ব কোথায় গেল? এমনই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহলে!
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584