শ্যামল রায়, নবদ্বীপঃ
বুধবার ছিল চৈতন্য ভূমি নবদ্বীপের রাস উৎসবের শোভাযাত্রা। শোভাযাত্রা উপলক্ষে এদিন সকাল থেকেই বিভিন্ন রাস উৎসবের কমিটির সদস্যরা প্রতিমা বিসর্জনের জন্য সমস্ত রকম প্রস্তুতি সেরে ফেলেন এবং অধিক রাত পর্যন্ত প্রতিমা বিসর্জনের জন্য প্রথমে শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেছিল।
নবদ্বীপ শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পুজো কমিটির সদস্যরা বড় বড় আকারের প্রতিমা নিয়ে প্রধান রাস্তাগুলোতে শোভাযাত্রা শুরু করেছিল।
বল বিয়ারিং এর মধ্যে দিয়ে চার চাকার গাড়িতে প্রতিমাকে বসিয়ে চক্রাকার পথে এই শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। জানা গিয়েছে শোভাযাত্রা উপলক্ষে এদিন প্রচুর পুলিশ মোতায়নের কথা থাকলেও সেরকম একটা চোখে পড়েনি পুলিশের।
আরও পড়ুনঃ নৌ-রাসযাত্রা ঘিরে উদ্দীপনা পূর্ব মেদিনীপুরে
তবে শহরের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে সিভিক পুলিশের সংখ্যাটা চোখে বেশি পড়েছে। সেই সাথে ছিল দুই একজন পুলিশ।
অনেকেই বলছেন নিরাপত্তা জায়গা থেকে জোরদার পুলিশের ব্যবস্থা থাকার কথা থাকলেও মানুষের চোখে কিন্তু সেরকম একটা চোখে পড়েনি।
অন্যদিকে পুরসভার তরফ থেকে ছিল বিভিন্ন ধরনের ক্যাম্প। সরকারপাড়া মোড়ের কাছে ভারতীয় জনতা পার্টির তরফ থেকেও একটি ক্যাম্প করেছিল। তাই নবদ্বীপের রাস উৎসব শান্তিতেই সম্পূর্ণ হলো এবং রাজপথে নেমেছিল মানুষের ঢল।
রবিবার থেকে রাত যাত্রার শুভ সূচনা হলেও মঙ্গলবার বুধবার অধিক রাত পর্যন্ত বহিরাগত দর্শকদের সাথে এলাকার মানুষও বিভিন্ন বৈচিত্র্যময় প্রতিমা দর্শন করেছেন।
আরও পড়ুনঃ রাসমেলা উদ্বোধনে অনুপস্থিত রবীন্দ্রনাথ
এই রাস উৎসবের প্রধান বৈশিষ্ট্য বৈচিত্র্যময় প্রতিমা দেখতে পেয়েছিলেন দর্শনার্থীরা। একদিকে শক্তির আরাধনা অন্যদিকে বৈষ্ণবীয় আরাধনা অর্থাৎ শক্তি এবং শাক্ত রসের মিলেমিশে একাকার হয়েছিল রাস উৎসবে। তাই দেশ-বিদেশ থেকে লক্ষাধিক ভক্তদের ঢল নামে নবদ্বীপের রাস উৎসবে।
আগে রাস উৎসব মানেই সকলের মধ্যে একটা আতঙ্ক ঘুরে বেড়াতো কখন যেন কি ঘটে যায় শান্তি বিঘ্নিত হয় মৃত্যু হয় মানুষের।
বর্তমানে রাস উৎসব নিয়ে মানুষের মধ্যে কোন আতঙ্ক নেই তবুও মানুষ থাকে সদা সতর্ক এবং পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকেও মানুষ সতর্ক থাকেন। তাই রাস উৎসবে মাতোয়ারা হয়ে পড়েছিলেন শহরবাসী।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584