পিয়ালী দাস,বীরভূমঃ
দলবদল করতেই বীরভূম জেলা পুলিশের তরফ থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন বিধায়ক গদাধর হাজরার ব্যক্তিগত দেহরক্ষীকে তুলে নিল।মাত্র তিন দিন আগে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে দিল্লিতে বিজেপিতে যোগদান করে তৃণমূলের এই প্রাক্তন বিধায়ক গদাধর হাজরা।
বীরভূম জেলা পুলিশ সূত্রে খবর,যেহেতু গদাধর হাজরা বর্তমানে কোন পদে নেই তাই ওনার সরকারি ব্যক্তিগত দেহরক্ষীকে ফিরিয়ে নেওয়া হলো।যদিও বিষয়টি পুরোপুরি রাজনৈতিক তা স্পষ্ট।
২০১১ সালে নানুর বিধানসভা থেকে গদাধর হাজরার তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে বিধানসভায় পৌঁছান।তখন থেকেই বিধায়ক হিসেবে তার একজন ব্যক্তিগত দেহরক্ষী সরকারি নিয়মে পেয়েছিলেন। কিন্তু ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও সিপিএম প্রার্থী শ্যামলী প্রধানের কাছে পরাজিত হন। মজার ব্যাপার হল,বিধানসভা নির্বাচনে পরাজিত হবার পরেও গদাধর হাজরার ব্যক্তিগত দেহরক্ষীর সংখ্যা এক থেকে বেড়ে চার হয়।কারণ বীরভূম জেলার নানুর বিধানসভা জেলার মধ্যে অন্যতম গোষ্ঠী কোন্দলের এলাকা বলে পরিচিত।দলীয় কোন্দল এতটাই প্রকট হয়েছিল যে,জেলার যুব সভাপতি হওয়া সত্ত্বেও গদাধর হাজরার চার জন দেহরক্ষীর ঘেরাটোপে রাখা হতো সর্বদা।
নানুরের দোর্দণ্ডপ্রতাপ অন্যতম তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা কাজল শেখের সাথে এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে গদাধর হাজরার সংঘর্ষে ছিল নিত্যনৈমিত্তিক।
তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরমহলে খবর, একাধিকবার একে অপরকে খুনের চক্রান্তও করেছিল। যেহেতু বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মন্ডলের হাত গদাধর হাজরার মাথায় ছিল তাই পুলিশের তরফ থেকেও এতদিন গদাধর হাজরার ব্যক্তিগত দেহরক্ষী ফেরত নেওয়ার ব্যাপারে কোন তাগিদ দেখানো হয়নি। তবে বিষয়টি নিয়ে জেলা পুলিশ সুপার শ্যাম সিং কোন মন্তব্য করতে চাননি।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584