নবনীতা দত্তগুপ্ত, বিনোদন ডেস্কঃ
চলতি বছরটা নক্ষত্রপতনের কবলেই বলা যায়। সংস্কৃতির আকাশ থেকে ফের খসে পড়ল আরেকটি উজ্জ্বল তারা৷ নাম অমলা শঙ্কর। কথায় বলে, শিল্পীর বয়স বাড়ে না। তাই অমলা শঙ্কর ১০১-এর কোঠায় এসে মারা গেলেও সাংস্কৃতিক জগতের এক মহামূল্যবান সম্পদ খোয়া গেল তা বলতে দ্বিধা নেই। দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন শিল্পী।
এদিন সকালে তাঁর মৃত্যুর খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় দেন তনুশ্রী শঙ্কর কন্যা শ্রীনন্দা শঙ্কর। ঠাম্মির প্রয়াণে ব্যথিত তিনি। মুম্বই থেকে কোনও ফ্লাইট নেই কলকাতায় আসার। তাই ঠাম্মার শেষযাত্রায় হাজির থাকতে পারলেন না শ্রীনন্দা। গান স্যালুটে শিল্পীকে চিরবিদায় জানানো হল আজ। শিল্পীর মৃত্যুতে গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শিল্পীর জন্ম ১৯১৯ সালের ২৭ জুন। অনেক ছোটবেলা থেকেই নাচের তালিম নেন অমলা শঙ্কর। ১৯৩১ সালে প্যারিস ইন্টারন্যাশনাল কলোনিয়াল এগজিবিশনে অংশ নেন তিনি। সেই সময় থেকেই শঙ্কর পরিবারের সঙ্গে তাঁর হৃদ্যতা।
এরপর তিনি নাচের তালিম নেন উদয় শঙ্করের কাছে। ১৯৪২-এ বিয়ে হয় তাঁদের। শঙ্কর দম্পতি জুটি বেঁধে বহু অনুষ্ঠান উপহার দেন বিশ্ববাসীকে। ‘কান চলচ্চিত্র উৎসবে প্রশংসিত হয় তাঁদের যুগলবন্দি পরিবেশন।
আরও পড়ুনঃ কিংবদন্তি নৃত্যশিল্পী অমলা শঙ্করের জীবনাবসান
উদয় শঙ্কর এবং অমলা শঙ্করের কোলে আসেন আনন্দ শঙ্কর এবং মমতা শঙ্কর। এই শঙ্কর পরিবারের কাছে নাচের তালিম নিয়েছেন বহু নৃত্যশিল্পী। পরিবারের নাচের ধারা আজও অব্যাহত রয়েছে অমলা-উদয় শঙ্করের মেয়ে মমতা শঙ্কর এবং পুত্রবধূ তনুশ্রী শঙ্করের তত্ত্বাবধানে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584