পিয়া গুপ্তা,উত্তর দিনাজপুরঃ
শ্রম দপ্তরের আধিকারিকদের হাতে পাঁচ শিশু শ্রমিক উদ্ধার হওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল ইসলামপুরে।

মঙ্গলবার দিনভর বিভিন্ন হোটেল এবং গ্যারেজে আচমকা অভিযান চালায় উত্তর দিনাজপুর জেলা ডেপুটি লেবার কমিশনার সোমনাথ রায় ও ইসলামপুর মহকুমা শ্রমদপ্তরের লেবার কমিশনার শেখ নওশাদ সহ আধিকারিকদের একটি বিশেষ দল। ওই সমস্ত এলাকায় কর্মরত শ্রমিকদের তারা হাতেনাতে উদ্ধার করেন।

শিশু শ্রমিকদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয় এদিন। ইসলামপুরের একত্রিশ নম্বর জাতীয় সড়ক সংলগ্ন বিভিন্ন হোটেল ও গ্যারেজে ইসলামপুর থানার পুলিশের সহযোগিতায় যৌথভাবে এই অভিযান চালানো হয়।
শ্রম দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, মোট পাঁচজন শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। এদিন চারটি দোকান থেকে উদ্ধার হয়েছে ওই পাঁচ শিশু। দোকানদারদের বিরুদ্ধে ইসলামপুর থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।

উদ্ধার হওয়া শিশুদের চিকিৎসা করিয়ে জেলা চাইল্ড লাইনের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, উত্তর দিনাজপুর জেলায় এর আগে অবৈধভাবে শিশু শ্রমিকদের বিষয়টি চিহ্নিত করার জন্য একটি টাস্কফোর্স গঠিত হয়েছিল কিন্তু সেই টাক্সফোর্স এর কর্মকান্ড এখন লাল ফিতের ফাঁসে বন্দি । তাই ইসলামপুর মহকুমা সদর সহ জেলা জুড়ে বেড়েই চলছিল শিশু শ্রমিকদের দিয়ে কাজ। আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে একাধিক হোটেল এবং গ্যারেজে এমনকি মানুষের বাড়িতেও ক্ষুদে শিশুদের শ্রমিক হিসেবে কাজে লাগানো হচ্ছে বলে অভিযোগ।
এদিকে ঘটনার পর হোটেল মালিক এবং কর্তৃপক্ষের টনক নড়েছে। পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি বিহারে থেকেও প্রচুর শিশু শ্রমিক নিয়ে আসা হত বলে স্থানীয় সূত্রে খবর।
আরও পড়ুনঃ দেরিতে এসে মোবাইলে ব্যস্ত শিক্ষকরা, স্কুলগেটে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ অভিভাবকদের
ওইসব শিশুশ্রমিকদের সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সামান্য পারিশ্রমিকের বিনিময় অক্লান্ত ভাবে খাটানো হতো বলে অভিযোগ উঠেছে বিভিন্ন মহলে। তবে নিয়মিত অভিযান না হওয়াতেই শিশু শ্রমিকের সংখ্যা পাল্লা দিয়ে বাড়ছে।এই অভিযান লাগাতার না চললে শিশু শ্রমিকের সংখ্যা ক্রমশই বৃদ্ধি পেতে থাকবে বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584