শ্যামল রায়,কাটোয়াঃ
কাটোয়া মহকুমার পাঁচটি ব্লকের বিভিন্ন প্রাথমিক এবং ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসক-সংকট।স্থানীয় বাসিন্দারা স্বাস্থ্যপরিসেবা না পেয়ে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।এলাকার বাসিন্দারা দাবি তুলেছেন যে প্রাথমিক এবং ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কমপক্ষে দুই এক
জন চিকিৎসক দিয়ে স্বাস্থ্য পরিষেবার হাল ফেরান হোক।এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ যে কেউ দুর্ঘটনার কবলে পড়লে প্রাথমিক চিকিৎসার ন্যূনতম উপায় নেই চিকিৎসকের অভাবের কারণে।গ্রামীণ স্বাস্থ্য কেন্দ্র গুলির কঙ্কালসার পরিকাঠামো নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে মহাকুমা বাসিন্দাদের।যদিও একটা অংশের দাবি আগের দিনের তুলনায় বর্তমানে চিকিৎসা পরিষেবার যথেষ্ট উন্নতি ঘটেছে।তবে সার্বিকভাবে দেখা গিয়েছে যে স্বাস্থ্য কেন্দ্র গুলির পরিকাঠামোর উন্নতি ঘটলেও শুধু অভাব চিকিৎসকের।আরো অভিযোগ যে সারা বছর ধরেই মহাকুমার প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র গুলিতে ঠিকমতো পরিষেবা পাওয়া যায় না।
দুর্ঘটনায় সামান্য আঘাত পেলে প্রাথমিক চিকিৎসা করার কেউ থাকেন না হাসপাতালে বা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এই নিয়ে একের পর এক অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন প্রাথমিক এবং ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে।তাই গ্রামের অধিকাংশ মানুষ গ্রামীণ হাতুড়ে ডাক্তারের উপর ভরসা করছেন।এই বিষয়ে কাটোয়া মহকুমা স্বাস্থ্য দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত সহকারী মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তথা কাটোয়া হাসপাতালে সুপার রতন শাসমল জানিয়েছেন যে ঘটনা টা সত্যি যে পরিমাণ চিকিৎসকের দরকার তা এখনো অভাব রয়েছে।চিকিৎসক-সংকট এর কথা স্বাস্থ্য ভবনে জানিয়েছি।তবে কাটোয়া মহকুমার মঙ্গলকোট কেতুগ্রাম কাটোয়া এক নম্বর ও দুই নম্বর ব্লকের অধিকাংশ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসক-সংকট চলছে। আরো অভিযোগ যে বিভিন্ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ফার্মাসিস্ট আই রোগী দেখছেন এমনকি বিভিন্ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ফার্মাসিস্টরা চেম্বার খুলে ও রোগী দেখছেন বলে অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে মহাকুমার বিভিন্ন প্রান্তে।স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে যে মহকুমায় পাঁচটি ব্লকে ১৩ টি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র রয়েছে এবং ১২৫ টি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র রয়েছে।প্রাথমিক ও ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্র মিলিয়ে ৪০ জন চিকিৎসকের অভাব রয়েছে মহাকুমায়।
তাই ব্লকের বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসকের অভাবের কারণে রোগীদের চলে আসতে হচ্ছে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে।জানা গিয়েছে যে কাটোয়া ১ ব্লকের সুদপুর চন্দ্রপুর ও খৈতনে তিনটি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মধ্যে চন্দ্রপুরে কোন চিকিৎসক নেই।কাটোয়া ২ নম্বর ব্লকে শিঙি ও অগ্র দিবে দুটি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র থাকলেও সন্ধ্যের পর বা ছুটির দিনে কোনো পরিষেবা মেলে না।এখানে ফার্মাসিস্টরা রোগী দেখেন।
কেতুগ্রাম এক নম্বর ব্লকে আমখোলা ও পান্ডু গ্রাম এ দুটি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মধ্যে আনখোনা তে কোন চিকিৎসক নেই।কেতুগ্রাম দুই নম্বর ব্লকে শিবলুন ও সীতাহাটিতে, দুটি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের একটিতেও কোন চিকিৎসক নেই।
আরও পড়ুনঃ স্বাস্থ্যকর্মী দের নিয়ে আলোচনা সভা
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584