সিএলডব্লিউ বাঁচাও আন্দোলনে সংশয় বাসিন্দাদের

0
46

সুদীপ পাল,বর্ধমানঃ

চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানাকে সম্প্রতি কর্পোরেট করার নির্দেশিকা আসার পর থেকে ব্যাপকভাবে শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকে আন্দোলন শুরু হয়েছে। কিন্তু আন্দোলনের ফল কি হবে তা নিয়ে দোলাচলে এলাকার বাসিন্দা এবং ব্যবসায়ীরা।

save CLW movement | newsfront.co
সিএলডব্লিউ বাঁচাও আন্দোলন।ছবিঃ প্রতিবেদক

সাধারণ মানুষের বক্তব্য, এই কারখানার উপর শুধু যে পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোল বা বরাকরেরমতন জায়গার মানুষরা নির্ভর করে তা নয় ঝাড়খণ্ডের মিহিজাম, জামতারার মতন একাধিক জায়গার বাসিন্দাদের রুজি রোজগারের প্রধান ক্ষেত্র এই কারখানা।

এলাকার মানুষরা বলছেন, সংস্থাটি যদি বন্ধ হয়ে যায় তাহলে ব্যবসা-বাণিজ্যে প্রভাব পড়বে, আবার সংস্থাটি যদি বেসরকারিকরণ হয় তাহলে কর্মী ছাঁটাই হবে।তাতেও এলাকার অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব পড়বে। শুধু তাই নয় বিভিন্ন ক্ষুদ্র শিল্পোদ্যোগী মানুষের প্রধান ভরসা এই কারখানা। এখন কারখানা বন্ধ হলে স্বরোজগারের সাথে যুক্ত মানুষদের আয় সম্পূর্ণভাবে কমে যাবে। প্রভাব পড়বে শিক্ষা সংস্কৃতিতে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য সংস্থার ১৩টি শ্রমিক সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত ‘সেভ সিএলডব্লিউ জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটি’র নেতৃত্বে সরব হয়েছেন শ্রমিক কর্মীরা।

যদিও আসানসোলের বিজেপি সাংসদ কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় বলছেন, বেসরকারিকরণ হলে তাতে খারাপ কিছু হবে না। মালিকানা বেসরকারি হাতে চলে যাবে কিন্তু বেসরকারিকরণ মানে কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়া নয়। কারখানা বাঁচানোর ডাক দিয়ে শ্রমিক কর্মীরা বিক্ষোভের পর জেনারেল ম্যানেজারকে স্মারকলিপি দিয়েছেন। সেই স্মারকলিপি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ ডেঙ্গু আতঙ্কে হাবড়া, আক্রান্ত ৫০০, মৃত ৪

তবে এতকিছুর পরেও নিশ্চিন্ত হতে পারছেন না শ্রমিক থেকে এলাকার বাসিন্দা কেউই। কি হবে ভবিষ্যতে এই আশঙ্কায় তাঁরা চিন্তিত। সত্যিই কি আন্দোলনে লাভ হবে নাকি বেসরকারিকরণ হবে অথবা বন্ধ হবে তা বলবে ভবিষ্যৎ। আপাতত আশায় পথ চাওয়া।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here