শান্তনু পুরকাইত, গঙ্গাসাগরঃ
ফের ভাঙন সাগরদ্বীপের বাঁধে। কোথায় ১০০ মিটার কোথাও বা তার থেকে বেশি ভাঙন ধরেছে। প্রতিবছর বর্ষার মুখে প্লাবনের আশঙ্কায় দিন কাটায় সাগরদ্বীপের ধবলাট গ্রাম পঞ্চায়েতের শিবপুর, কেদারপুর, বসন্তপুর, রাধিকাপুর, রাজপুর, মনসাতলা মতো প্রত্যন্ত এলাকার গ্রামবাসীরা।

গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান থেকে সেচ দপ্তর আধিকারিক কাউকে জানিয়েও কোনো সুরাহা হয়নি। সুন্দরবন উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক বঙ্কিম চন্দ্র হাজরা থেকে শুরু করে সাগর ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিককে জানিয়েও কোনো সমাধান হয়নি। নতুন করে ভাঙনের পর প্রশাসনের সহযোগিতা না পেয়ে ভাঙা বাঁধের ওপরে বিক্ষোভ দেখাল কয়েকশো গ্রামবাসী।

ভাদ্র মাসের ষাঁড়াষাড়ির কোটালে প্লাবিত হয়ে যাবে আট দশটি গ্রাম। গঙ্গাসাগর দ্বীপে ২০০৯ সালে আয়লায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল ধবলাট গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণের দিকে বঙ্গোপসাগরের বাঁধ। ২০১৩ সালে কেন্দ্রের দেওয়া চার কোটি চার লক্ষ টাকায় সাড়ে ৬ কিলোমিটার বাঁধের কাজ হওয়ার কথা ছিল। চেমাগুড়ি থেকে তপোবণ পর্যন্ত যে কাজ হওয়ার কথা ছিল সে কাজ হয়নি বলে দাবি গ্রামবাসীদের।
আরও পড়ুনঃ বেহাল রাস্তা সংস্কারের দাবিতে সরব গ্রামবাসীরা
আয়লার টাকা আসার পর ১৩০০ মিটার কাজ হওয়ার কথা ছিল। হয়েছে ২৬৪ মিটার। খরচ চার কোটি চার লক্ষ টাকা। ২০০৯ সাল থেকে আজও প্রত্যন্ত এলাকার মানুষ প্লাবনের আশঙ্কায় ভোগে। বর্ষাকালে আসায় কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে ধবলাট গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মানুষের। তাদের একটাই দাবি যদি প্রশাসন সক্রিয় হত, তাহলে আজ এই দুঃস্বপ্ন তাদের দেখতে হতো না। যদিও বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ সুন্দরবন উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584