নিজস্ব সংবাদদাতা, বাঁকুড়াঃ
রাতের অন্ধকারে চুরি করার পর নথিপত্র আগুনে পুড়িয়ে দিল দুষ্কৃতীরা। এমনই ঘটনা ঘটল বাঁকুড়ার পাঁচমুড়ার এক গ্রামীণ ব্যাংকের সিএসপি কেন্দ্রে ।
এই মুহূর্তে দেশ জুড়ে চলছে লকডাউন। আর তার জেরেই গৃহবন্দি দেশবাসী। কিন্তু তার মধ্যেই চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হল বাঁকুড়ায় ।
শনিবার বাঁকুড়ার তালডাংরা থানার পাঁচমুড়ার এক গ্রামীণ ব্যাংকের গ্রাহকসেবা কেন্দ্রে চুরি করার পর দুষ্কৃতীরা আগুনে পুড়িয়ে দিল সমস্ত নথিপত্র। এছাড়াও গ্রাহকসেবা কেন্দ্রের ভিতরে থাকা একটি আলমারি তুলে নিয়ে গিয়ে ফেলে দেয় পাশের এক জঞ্জালের স্তূপে।
জানা যায় বঙ্গীয় গ্রামীন বিকাশ ব্যাংক থেকে তিনজন অনুমোদন পেয়ে এই স্থানে তারা গ্রাহক সেবা কেন্দ্র চালাত। তার ফলেই হাজার হাজার মানুষের পরিষেবা মিলত এখান থেকেই, কিন্তু চুরির খবর পেতেই ব্যাংকে ছুটে আসে মালিকরা।
আরও পড়ুনঃ করোনা নিয়ে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে ধৃত দুই ব্যক্তি
ঘটনাস্থলে এসে তাঁরা দেখেন সেবা কেন্দ্রের গেটের তালা কাটা অবস্থায় পড়ে আছে। আর ভেতরে থাকা সমস্ত জিনিসপত্রে আগুন ধরিয়ে দেয়। এমনকি ব্যাংকে থাকা আলমারিটিও নিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। তবে চুরির ঘটনা জানাজানি হতেই ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায় তালডাংরা থানার পুলিশ।
যদিও গ্রাহক সেবা পরিচালনা করা ব্যক্তিদের দাবি এখানে সেরকম ভাবে টাকা রাখা থাকে না। তাই তারা টাকা না পেয়ে তাদের সমস্ত মেশিন ও কাগজপত্র পুড়িয়ে দিয়েছে। পাশাপাশি কোন মানুষ হিংসার ফলে এই কু-কর্ম করেছে বলে দাবি করছেন মালিকরা।
এ বিষয়ে মালিকপক্ষের দাবি অর্থাৎ গ্রাহক সেবা কেন্দ্র পরিচালনায় অনিমেষ দাস জনান, কোন সাময়িক জাতীয় জিনিস দিয়ে দরজার তালা ভেঙ্গে, দুষ্কৃতীরা ঘরে ঢোকে। সেখানে টাকা-পয়সা না পাওয়ায় রাগে তারা সমস্ত কাগজপত্রে আগুন লাগিয়ে দেয়। এমন কি একটি মেশিন ও পুরোপুরি ভাবে পুড়ে যায়।
পাশাপাশি এখান থেকে প্রায় দশ হাজার কাস্টমার পরিষেবা পায়। এই আগুনে তাদের সমস্ত কাগজপত্র রেজিস্টার সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। হিংসার ফলেই এ রকম কাণ্ড ঘটিয়েছে বলে মনে করছেন মালিকের একাংশ।অতএব, এই ঘটনার সঙ্গে কে বা কারা জড়িত রয়েছে তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584