পিয়া গুপ্তা,উত্তর দিনাজপুরঃ
নিজের ইচ্ছে মতো বাড়ীর ছাদে আস্ত গ্রিনহাউজ় তৈরি করে অর্কিডের চাষ করে চলছেন বীরনগরের বাসিন্দা রুমকি মোদক।একসময় ঘর সাজানোর নেশায় নিয়ে আসা অর্কিড এখন পেশায় পরিবর্তিত হয়েছে রুমকি দেবীর। নিজের শহর
পেরিয়ে রুমকি দেবীর চাষ করা অর্কিড এখন কাঁটাতারের সীমানা পেরিয়ে ফ্রান্সের বাজারে।ফ্র্যাগ্মিপেডিয়াম, কোভাচি, এংরাকিয়াম-সেস্কুইপেডালে ভার বসেরি,ফেলোনপসিস ইকুয়েস্ট্রিস থ্রি-লিপস সহ বহু প্রজাতির অর্কিড প্রাচ্যের সুদূর থাইল্যাণ্ড ও তাইওয়ান থেকে উড়িয়ে এনে নিজের ঘরে বসিয়েছেন রুমকি দেবী।নিত্যদিনই নিজের ব্যবসার জন্য তৈরি করা ওয়েবসাইটে পাওয়া অর্ডার দেখে বিদেশে ছড়িয়ে দিচ্ছেন প্রায় ২০০ প্রজাতির ১৫০০ প্রকারের অর্কিড।সখের অর্কিড চাষে লক্ষ্মীলাভও হয়েছে রুমকিদেবীর।ভারতের মধ্যে এখন অর্কিড সরবরাহে তাঁর স্থান এক নম্বরে।জানা যায় অর্কিডের সঙ্গে প্ৰথম আলাপ তার কালিম্পং এ।পাহাড় ভ্রমণের ফাঁকেই অর্কিডের সঙ্গে প্রথম পরিচয়।কার্সিয়াং কালিম্পং থেকেই প্রথম প্রথম চারা এনে চাষ করতেন এবং তা বিক্রি করতেন পরিচিত বন্ধুদের কাছে।ধীরে চাহিদা বাড়তে থাকায় বুঝতে পারেন অর্কিডের ভাল বাজার রয়েছে দেশের মেট্রো শহরগুলোর পাশাপাশি বিদেশের মাটিতেও। তাই বাড়ির ছাদে বানিয়ে ফেলেন আস্ত দুটি গ্রিনহাউস।
রুমকি দেবী জানান তার বাড়ির ছাদে ওয়ার্ম গ্রোয়িং ও ইন্টার মিডিয়াম গ্রোয়িং – এই দুই শ্রেণীর মিলিয়ে মোট প্রায় হাজার রকমের অর্কিড চাষ করছেন তিনি।দিল্লী কলকাতা, মুম্বাই,চেন্নাই,ব্যাঙ্গালুরু, হায়দ্রাবাদ সহ বিভিন্ন শহরে ধনীদের ঘর সাজাচ্ছে রুমকিদেবীর নানা প্রজাতির অর্কিড।
রীতিমতো ব্যবসায়ী হয়ে উঠেছেন রায়গঞ্জের বীরনগরের বাসিন্দা রুমকি মোদক।
আরও পড়ুন: ট্রেনে সহযাত্রীর দেওয়া চা পান করে কপর্দকশূণ্য সরকারি আধিকারিক
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584