ফেসবুকে পরিচয়,প্রেমের টানে ইউক্রেন থেকে আরামবাগে রুশ তরুণী

0
9774

বদরুল আলম,আরামবাগঃ

প্রসেনজিত কর্মকার। নিজস্ব চিত্র

বাঙালি ‘প্রেমিকের’ টানে সুদূর ইউক্রেন থেকে ছুটে এসেছিলেন ‘প্রেমিকা’।কিন্তু বাধ সাধল প্রেমিক নিজেই। সদ্য বিবাহিত প্রসেনজিত কর্মকারের দাবি,রুশ তরুণী লোপাচুক নাদিয়া শুধুই তাঁর ‘বন্ধু’ মাত্র।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,হুগলীর আরামবাগের তালারপাড় এলাকার বাসিন্দা প্রসেনজিত কর্মকার।পেশায় ব্যবসায়ী।গত ১৫ অগাস্ট বিয়ে করেন প্রসেনজিত।আর তারপরই সুদূর ইউক্রেন থেকে আরামবাগ এসে হাজির ‘প্রেমিকা’ লোপাচুক নাদিয়া।রুশ তরুণীর বয়স কুড়ির ঘরে।জানা গেছে,গত ২৩ অগাস্ট ইউক্রেন থেকে মাস তিনেকের ভিসা নিয়ে তিনি প্রথমে দিল্লিতে আসেন।তারপর দিল্লি থেকে কলকাতা।এরপর কলকাতা থেকে ২৫ অগাস্ট শনিবার আরামবাগ পৌঁছে স্থানীয় একটি হোটেলে ওঠেন।হোটেলে উঠেই লোপাচুক প্রসেনজিতকে ডেকে পাঠান।আর প্রসেনজিত আসতেই হোটেলের ঘরের ভিতর দুজনে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন।কথা কাটাকাটির আওয়াজ পেয়েই আরামবাগ থানায় খবর দেয় হোটেল কর্তৃপক্ষ।
অরোও জানা গেছে , বছর দেড়েক আগে ফেসবুকে রুশ তরুণীর সঙ্গে আলাপ হয় প্রসেনজিতের।তারপর ফেসবুকেই ভাব জমে ওঠে।আরও চেনা পরিচিতি বাড়ে। প্রসেনজিত দাবি করেছেন, রুশ তরুণী লোপাচুক নাদিয়া শুধুই তাঁর ‘ভালো বন্ধু’। কিন্তু শুধুই কি বন্ধুত্বের টানে সুদূর ইউক্রেন থেকে আরামবাগ পাড়ি?
যদিও, লোকজনের প্রশ্নের মুখে রুশ তরুণী লোপাচুক নাদিয়াও প্রসেনজিতকে ‘বন্ধু’ বলেই উল্লেখ করেছেন। বলেছেন, “প্রসেনজিত্ আমার বন্ধু। আমি ইন্ডিয়াকে ভালোবাসি।” কিন্তু, কানাঘুষো বলছে, তিনি প্রসেনজিতকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন।
প্রসঙ্গত, ১৫ অগাস্ট বিয়ে করেছেন প্রসেনজিত।মনে করা হচ্ছে,সেই খবর পেয়েই হয়তো আরামবাগে নিজের ‘প্রেমিকে’র কাছে আসার সিদ্ধান্ত নেন লোপাচুকা।
লোপাচুকাকে আরামবাগ থানায় নিয়ে আসা হলে তাকে দেখতে ভিড় জমান স্থানীয়রা।শেষ খবর পাওয়া গেছে, লোপাচুকা নাদিয়া বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছেন ।

আরও পড়ুন: পেশাগত দাবীতে মুর্শিদাবাদ অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকে ডেপুটেশন স্কুল মাদ্রাসা করনিকদের

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here