কার্ত্তিক গুহ,ঝাড়গ্রামঃ
ঝাড়গ্রাম জেলার বিনপুর ব্লকের হাড়দা গ্রাম।আজ থেকে ১৫৬ বছর আগে সুরেন্দ্রনাথ মন্ডলের হাত ধরে হাড়দা তে শুরু হয় লক্ষী পূজো ।সেই গ্রামের মণ্ডলদের পারিবারিক পুজোই এখন গ্রামের সকলের পুজো।এমনকী আশপাশের গ্রামের মানুষও মাতেন পুজোর আনন্দে।পুজোর সমস্ত খরচ বহন করেন মণ্ডলরাই।এই পুজোকে কেন্দ্র করে আগে এক মাস ধরে মেলা বসত।এখন তা কমে এসে দাঁড়িয়েছে পাঁচ দিন।

চিরাচরিত লক্ষ্মী প্রতিমার থেকে এখানকার প্রতিমার আদল খানিকটা আলাদা।একচালার কাঠামোর দুই দিকে দুই বোন–সম্পদের দেবী লক্ষ্মী এবং বিদ্যার দেবী সরস্বতী৷মাঝখানে স্বয়ং নারায়ন।আর দুই পাশে থাকে দুই সখি,প্রতিমা স্বর্ণালঙ্কারে সজ্জিত৷আগে প্যান্ডেল বেঁধে পুজো করা হত।এখন স্থায়ী মণ্ডপ তৈরি হয়েছে ৷ হাড়দার লক্ষী পূজোর মূল অাকর্ষন হল আতসবাজি পোড়ানো।আতসবাজীর এই অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে সূচনা হয় পুজোর ৷হাড়দার লক্ষী পূজোর অন্যতম আকর্ষণ অমৃতি বা বিউলির কলাই এর জিলিপি।পুজোর প্রায় এক থেকে দেড় মাস আগেই এই জিলিপির দোকান নিলাম হয়।মেলায় জিলিপির দোকান কে দিতে পারবেন তা ঠিক করতেই এই নিলামের ব্যবস্থা৷ এমনকী জিলিপি কত টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হবে তার দাম বেঁধে দেওয়া হয় কমিটির তরফে৷মেলায় প্রতিদিন প্রায় ১০০ কুইন্টালের উপর জিলিপি বিক্রি হয়।জিলিপির জন্যই বহু লোক,বহু দূর থেকে মেলায় আসেন পেল্লায় সাইজ জিলিপির আকারও দর্শনীয় ৷
আরও পড়ুনঃ ধনদেবী লক্ষ্মীর আরাধনায় ব্যস্ত বাঙালি
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584