নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতাঃ
সব দ্বন্দ্ব ভুলে দিলীপ ঘোষকে বিজয়া দশমীর প্রণাম জানিয়ে এলেন সৌমিত্র খাঁ, ভুল বোঝাবুঝি মিটতে এক মিনিট-ই যথেষ্ট জানালেন তিনি। দুর্গাপুজোর মধ্যেই ,সপ্তমীর দিন প্রকাশ্য বিবৃতি দিয়ে রাজ্যে যুব মোর্চার জেলা সভাপতির পদ ও সব জেলা কমিটি বাতিল করে দেন দিলীপ ঘোষ।
তারপরেই অষ্টমীর দিন বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁয়ের পদ থেকে ইস্তফা আবার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই প্রত্যাবর্তন, সব মিলিয়ে প্রকাশ্য গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব। সেই সৌমিত্র বাবুই বিজয়া দশমীর দিন দিলীপ ঘোষকে বিজয়ার প্রণাম জানিয়ে এলেন। যুব মোর্চার সভাপতির দাবি, “বিরোধ মিটতে ১ মিনিট যথেষ্ট।”
এবারে দুর্গাপুজো নিয়ে গেরুয়া বাহিনী খুবই সক্রিয় বঙ্গ রাজনীতিতে। সল্টলেকের ইজেডসিসিতে বিজেপি এই প্রথম দুর্গাপুজোর আয়েজন করে তারা, সেই পুজোর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এর পরেই সামনে আসে রাজ্য যুব মোর্চার কমিটি গঠন নিয়ে দলের অন্তর্কলহ। তারপরেই অবস্থান বদল করে দশমীর দিন রাজ্য সভাপতির পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম সারলেন সৌমিত্র।
আরও পড়ুনঃ আসন হারিয়ে লাদাখে কোনরকমে জয়ী গেরুয়া বাহিনী
সৌমিত্র খাঁ রাজ্য বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি হওয়ার পর কমিটি গঠন নিয়ে দলে শুরু হয় তুমুল মতবিরোধ। প্রথমে জেলা সভাপতিদের নাম ঘোষণা করা হয়েছিল। তার বিরোধিতা করেন দিলীপ ঘোষ। জেলা সভাপতির ঘোষিত তালিকা বাতিল করা হয়, কারণ, দলের নিয়ম রাজ্য কমিটি আগে ঘোষণা করতে হবে।
আরও পড়ুনঃ হারলে বাংলা ছাড়তে হবে! বঙ্গ বিজেপির অর্ন্তকলহ নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট অনুপমের
সূত্রের খবর, মোর্চার রাজ্য কমিটি গঠন নিয়ে অন্তর্দ্বন্দ্ব আরও জমে ওঠে। রাজ্য কমিটি ও জেলা সভাপতি নিয়ে বিরোধ ধারাবাহিক ভাবে চলতে থাকায় সমস্ত জেলা কমিটি ও সভাপতির পদ বাতিল করে দেন দিলীপ ঘোষ। এরপরেই গেরুয়া শিবিরে চরম নাটকীয় সব ঘটনা ঘটতে থাকে একের পর এক।
এরইমধ্যে দলের কেন্দ্রীয় সম্পাদক অনুপম হাজরাও সতর্ক করেন যে দলের বিরোধে লাভ হবে তৃণমূলের। ক্ষমতায় না এলে পালাতে হবে অন্য রাজ্যে। শেষমেশ দশমীতে আবার পট পরিবর্তন। তবে সত্যিই বিরোধ মিটলো নাকি শুধুই সৌজন্য সাক্ষাৎ সে উত্তর মিলবে আগামী দিনে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584