শ্যামল রায়, পূর্বস্থলীঃ
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে বিভিন্ন জায়গায় ব্যবসায়ীরা মিষ্টির দোকান খুলেছেন। কিন্তু লকডাউনের জেরে লোকজন ঘর থেকে বের হতে না পারার কারণে বেচাকেনা নেই মিষ্টির দোকানগুলিতে।
রবিবার দেখা গেল পূর্বস্থলী থানা ও নাদন ঘাট থানার বিস্তীর্ণ এলাকার মিষ্টির দোকানের ব্যবসায়ীরা হতাশ। এদিন ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, লকডাউনের জেরে লোকজন ঘর থেকে বের হতে না পারার কারণে, মিষ্টির দোকানে বেচাকেনা নেই। এছাড়াও বিভিন্ন মঠ ও মন্দির বন্ধ থাকার কারণে পূজো দেওয়ার বিষয়টি এখন বন্ধ।
আরও পড়ুনঃ লকডাউনে আটকে পড়া দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসিন্দা শ্রমিকের অনাহারে মৃত্যু দিল্লিতে
সেই কারণেই মিষ্টি কিনছেন না কেউ। তাই এক কথায় বলা যেতে পারে মিষ্টির দোকান খোলা থাকলেও একদমই বেচাকেনা নেই। তবে এ বিষয়ে নাদন ঘাট থানার হিমাতপুর ও সমুদ্রগড় অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা জানান, অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রী নিয়ে যে সমস্ত যানবাহন এই রাস্তায় চলাচল যাতায়াত করে থাকেন, তারা লরি থামিয়ে মিষ্টির দোকান থেকে কিছু খাবার খান।
এছাড়া অন্য কোনও মানুষ দোকান থেকে মিষ্টি কিনছেন না। তাই অভাবের সংসারে আমাদের সকলকেই চরম আর্থিক সংকটের মধ্যে পড়তে হয়েছে। এর পাশাপাশি এদিন এক মহিলা মিষ্টি ব্যবসায়ী শেফালী দেবনাথ বলেন, কালনা কাটোয়া রোড এবং নবদ্বীপ কৃষ্ণনগর রাস্তা দিয়ে যে সমস্ত লরি বা ছোট যানবাহন চলাচল করে, তারাই একমাত্র গাড়ি থামিয়ে মিষ্টি বা পরোটা লুচি খান।
এছাড়া কোনমতেই বেচাকেনা দোকানে নেই। যদিও বিকেল চারটের মধ্যে আমাদের মিষ্টির দোকান গুলো বন্ধ করে দিতে হয়,তাই সকাল থেকে খোলা হলেও এ রকম জটিল পরিস্থিতিতে আমাদের চরম সঙ্কটের মধ্যে পড়তে হচ্ছে।
এছাড়া বিভিন্ন জায়গা থেকে দুধ ব্যবসায়ীরাও ঠিক সময়ে দুধ না দেওয়ার কারণে ছানা তৈরি করে মিষ্টি বানাবো সেটাও সম্ভব হয়ে উঠছে না। তাই এক কথায় চরম পরিস্থিতিতে দিন কাটছে আমাদের। জানা নেই এই পরিস্থিতি কবে মিটবে। তবুও করোনা ভাইরাসের হাত থেকে বাঁচতে আমাদের লকডাউন মেনে চলতেই হবে। শুধু তাই নয় সংক্রমণের ভয়ে বারবার সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে ক্রেতাদের মিষ্টি দিতে হয়।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584