শিবশঙ্কর চ্যাটার্জ্জী, দক্ষিণ দিনাজপুরঃ
লকডাউন মেনে চলার জন্য এবার পথে নামলো প্রশাসন। গত ২৪ দিন ধরে টানা লকডাউন চলায় দক্ষিন দিনাজপুর জেলায় বেশ কিছু ব্যবসায়ী সেই লকডাউন বিধি অমান্য করে চুপি সারে তাদের দোকান খুলে পসার সাজিয়ে ব্যবসা শুরু করেছিল। আর সুযোগ বুঝে সেই সুবিধে নিতেই দোকানগুলিতে লকডাউন বিধি উড়িয়ে ভিড় জমাচ্ছিল স্থানীয়রা।
এই চিত্র জেলার সর্বত্র এক রকম না হলেও, খোদ জেলা সদর বালুরঘাটে এই চিত্র হামেশাই দেখতে পাওয়া যাচ্ছিল। যদিও করোনাকে রুখতে যে সোশ্যাল ডিসটেন্স ও আচরন বিধি মেনে চলার জন্যই যে এই লকডাউন, তা যেন এক কথায় হাস্যকর হয়ে পড়ছিল। এই নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যেও ক্ষোভ দেখা দিচ্ছিল।
সেদিকে লক্ষ রেখেই শুক্রবার বালুরঘাট শহরে ব্যবসায়ীদের লকডাউন বিধি মেনে চলার ব্যাপারে পথে নামল প্রশাসন। যদিও বালুরঘাট মহকুমা শাসক বিশ্বরঞ্জন মুখার্জীর নেতৃত্বে, প্রশাসনের একটি টিম বালুরঘাট শহরের বিভিন্ন বাজার এলাকায় হানা দেয়। শুধু তাই নয়, এর পাশাপাশি তারা বেশ কিছু দোকানকেও বন্ধ করে দেয়।
আরও পড়ুনঃ উজ্জ্বলার টাকা তুলতে ব্যাংকের সামনে উপচে পড়া ভিড় গ্রাহকদের
এছাড়াও সেই সব দোকানদারদের আবারও লকডাউন মেনে চলার ব্যাপারে কড়া হুঁশিয়ারি দেয় পুলিশ। এরপর তারা পরে বালুরঘাটের দুধ বাজারেও যান। সেখানেও সোশ্যাল ডিসটেন্স না মেনে গা ঠেসাঠেসি করে দুধ বিক্রি করছেন বেশ কিছু দুধ বিক্রেতা।
এখানেও এ ছবি দেখা মাত্রই, বালুরঘাট মহকুমা শাসক তাদের এভাবে দুধ বিক্রি করতে নিষেধ করে। এমনকি তাদের ফাঁকা ফাঁকা করে বসে দুধ বিক্রি করবার কথাও বলেনতিনি।
দিন পরিদর্শনের শেষে বালুরঘাট মহকুমা শাসক বিশ্বরঞ্জন মুখার্জী জানান “প্রশাসনের তরফে প্রথম থেকেই লকডাউন চলা কালিন সোশ্যাল ডিসটেন্স মানার যে বার্তা দেওয়া হয়েছিল, সেদিকে লক্ষ রেখেই আজ সেই একই বার্তা শহরের লকডাউন অমান্যকারীদের কাছে তুলে ধরার জন্যই এই উদ্দেশ্য”।
পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, “৯৫ শতাংশ মানুষ লকডাউন মানছেন, আর ৫ শতাংশ মানুষ হয়তো ভুল করে বা এক্সটেনসনের বার্তা না জানার কারনে নিত্য প্রয়োজনীয় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান খুলে রেখেছেন। আর সেই সব ব্যবসায়ীদের বুঝিয়ে, লকডাউন মেনে দোকান বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে”।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584