নবনীতা দত্তগুপ্ত, বিনোদন ডেস্কঃ
‘জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত সঙ্গীত শিল্পী’- হ্যাঁ ইমন চক্রবর্তীর নামের আগে এই তকমাটা জুড়তে আমরা কেউ ভুলি না কখনও। তাঁর গানের জাদুর কথা আজ আর অজানা নয় কারোই। কিন্তু এবার এহেন ইমনের জীবনে একটু স্বাদবদল। এই স্বাদবদল চেখে দেখা শুরু হয় অরিত্র মুখার্জি পরিচালিত ছবি ‘ব্রহ্মা জানেন গোপন কম্মটি’ ছবিতে। সেখানে গেস্ট অ্যাপিয়ারেন্স-এ ছিলেন তিনি।
অম্বরীশ ভট্টাচার্য’র প্রেমিকার চরিত্রে দু’ঝলক দেখা যায় তাঁকে। তবে এবার? রীতিমতো নায়িকা তিনি৷ বাংলা সিনেমায় অভিষেক ঘটল তাঁর জাস্ট স্টুডিও অরিজিনালস-এর হাত ধরে শর্ট ফিল্মের মাধ্যমে। তাঁর চরিত্রের নাম আশা সেন। সে একজন গৃহবধূ৷ এখানে ইমক একেবারে অন্যরকম। ‘মিসিং টু’ নামের শর্ট ফিল্মটিতে নিজের অভিনয়দক্ষতার পরিচয় দিলেন তিনি।
এবার ছবির গল্পটা বলা যাক। লকডাউন যেমন জন্ম দিচ্ছে নতুন জীবন বোধের, ঠিক তেমনই জীবন থেকে মিসিং হচ্ছে অনেককিছুই। আনন্দ, উৎসব, হৃদয়ের সংস্পর্শ জীবন থেকে বেশ খানিক দূরে। মাস্ক পরা জীবনে এখন শ্রী অর্থাৎ লক্ষী, আশা আর গালভরা হাসিরাও পাততাড়ি গুটিয়েছে নিজেদের মতো করে। সমাজের নানান বৈষম্য্ অবশ্য এখন ফিকে!
সামাজিক, অর্থনৈতিক বিভিন্ন স্তরের মানুষ আজ এক সরলরেখায়! সে আইটি প্রফেশনাল মুসকান শর্মাই হোক বা গৃহ পরিচারিকার কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করা লক্ষী অথবা নিতান্ত আটপৌরে গৃহবধূ আশা সেন। এই ভিন্ন ভিন্ন স্তরে অবস্থান করা তিন নারীর গৃহবন্দি দশায় থাকাকালীন জীবন সম্বন্ধে উপলব্ধির এক স্পষ্ট রেখাচিত্র নিয়ে তৈরি হয়েছে ‘জাস্ট স্টুডিও অরিজিনালস’-এর স্বল্প দৈর্ঘের ছবি ‘মিসিং টু’ (Missing ll’)।
আরও পড়ুনঃ শেষ ইনস্টাগ্রাম পোস্টে মাকে স্মরণ সুশান্তের
করোনা ঠেকাতে লকডাউনের এই আচমকা স্তব্দ হয়ে যাওয়া সময় থেকে হারিয়ে যাওয়া অনূভূতিরা কথা বলে Missing সিরিজে। ‘Missing -1’ এও তেমনিভাবে কথা বলেছিল আনন্দ, উৎসব, হৃদয়েরা। এবার আশা, মুসকান, লক্ষী। প্রযোজক অভিনেত্রী সুচন্দ্রা ভানিয়ার মস্তিস্ক প্রসূত এমন ভাবনাকে মাথায় রেখে চিত্রনাট্যস লিখেছেন চন্দ্রোদয় পাল। এবং সময়োপযোগী অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক এই স্বল্প দৈর্ঘের ছবিটির পরিচালক প্রতীক দাশ।
আশা সেনের চরিত্রে জাতীয় পুরস্কারজয়ী জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী ইমন চক্রবর্তী ছাড়াও ব্যাঙ্গালোরে থাকা আইটি প্রফেশনাল মুসকান শর্মার চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইন্ডাস্ট্রির পরিচিত মুখ ট্যা লেন্টেড অমৃতা চট্টোপাধ্যাীয়। ছবিতে দিল্লীবাসী গৃহ পরিচারিকার ভূমিকায় বাংলা চলচ্চিত্রের অন্যসতম শক্তিশালী অভিনেত্রী ঋ।
আরও পড়ুনঃ কলার টিউনে নিজের কণ্ঠস্বর অবাক করেছিল জসলিনকেও
ছবিতে বাংলা, ইংরাজি এবং হিন্দি তিনটি ভাষাকেই সমভাবে প্রাধান্যর দেওয়া হয়েছে। তিনটি ভাষায় সংলাপ বলেছেন সমাজের তিনটি স্তরের প্রতিনিধিত্ব করা তিন চরিত্রেরা। ক্যামেরা এবং সম্পাদনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এ ছবির। ক্যামেরার খুঁটিনাটি দিক অভিনেতাদের যথাযথ ভাবে গাইড করেছেন সৌম্যন বারিক এবং ছবির সম্পাদনা করেছেন সৌরভ মন্ডল।
ছবিটি ইতিমধ্যে মুক্তি পেয়েছে ‘জাস্ট স্টুডিও’র ইউটিউব চ্যানেলে। জাস্ট স্টুডিও এবং জাস্ট শর্টস- এর ফেসবুক পেজ থেকে খুব তাড়াতাড়ি প্রদর্শিত হবে ছবিটি। ছবিটি দেখতে পারেন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584