নিজস্ব সংবাদদাতা, পশ্চিম মেদিনীপুরঃ
সকাল থেকে না খেয়েই ছিলেন,কারন আজ ভাইফোঁটা।ভাই এর কপালে ফোঁটা না দিয়ে দিদি কিভাবে নিজে খাবে।সেই জন্য দিদির সকাল থেকেই ছিল ব্যস্ততা।ভাই এর জন্য নতুন জামা প্যান্ট কিনে সকাল সকাল স্নান সেরে ছেলে মেয়েকে নিয়ে স্বামীর সঙ্গে বেরিয়ে পড়েন বাপের বাড়ির উদ্দ্যেশ্যে।কিন্তু পৌঁছানো হলো না আর বাপের বাড়ি।দেওয়া হলো না ভাই এর মঙ্গল কামনায় ভাই এর কপালে চন্দনের ফোঁটা, দেওয়া হলো না ভাই এর জন্য কেনা নতুন জামা প্যান্ট ভাই এর হাতে।মাঝ রাস্তায় পড়ে রইলো দিদির নিথর দেহ।মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে এদিন সকালে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর লোকাল থানার অন্তর্গত মোহনপুর এলাকাতে। এই ঘটনার জেরে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে ও প্রাথমিকভাবে জানা গেছে,মেদিনীপুরের জকপুর এলাকার গৃহবধু সুচিত্রা দোলুই দাস (৩২) তার স্বামী বিমল দাস ও শিশু সন্তান অপৃতি দাস কে নিয়ে মোটর বাইকে চেপে মেদিনীপুর শহরের পালবাড়ি এলাকায় বাড়ি আসছিলেন।আসার পথে,মোহনপুরের কাছে ৬০ নং জাতীয় সড়কের উপর তাদের মোটর সাইকেলের সঙ্গে একটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।ঘটনায় মোটর সাইকেলের পেছনে থাকা সুচিত্রা রাস্তায় ছিটকে পড়লে পেছন থেকে একটি গাড়ি এসে তাকে চাপা দেয়। ঘটনাস্থলেই সুচিত্রার মৃত্যু হয়।অন্যদিকে মোটর সাইকেলে থাকা বিমল দাস ও অপৃতি গুরুতর আহত হয়। তাদের উদ্ধার করে আহত অবস্থায় মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান স্থানীয় বাসিন্দারা।পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।এই ঘটনার জেরে দুই পরিবারেই নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584