সিমা পুরকাইত,দক্ষিন ২৪ পরগনাঃ
ভক্তের ভক্তি আর বিশ্বাসে পূজিত হন দক্ষিন সুন্দরবনের মা শীতলা।বসন্ত রোগের প্রকোপের হাত থেকে এলাকাবাসিদের বাঁচাতে সাতদিন ধরে চলে মহাযজ্ঞ আহুতি নিবেদনে শীতলা মায়ের পূজা।পূজা ঘিরে বসে মেলা।মেলা আর পূজা ঘিরে উৎসব মুখর হয়ে ওঠে দক্ষিন সুন্দরবনের শিবনগর আবাদ গ্রাম।
নামখানা ব্লকের প্রত্যন্ত গ্রাম শিবনগর আবাদ।যে গ্রামে বাস করেন কয়েক হাজার মানুষ।খেটে খাওয়া মানুষের জীবিকা বলতে কৃষিকাজ সঙ্গে মৎসচাষ।ষাটের দশকে বসন্ত রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছিল শিবনগর আবাদে ।বসন্ত রোগের হাত থেকে বাঁচতে স্বপ্নাদেশ পান ততকালিন সনামধন্য ব্যক্তি বিপিন বিহারী সামন্ত।
মা শীতলার স্বপ্নাদেশে শুরু হয় ঘটবসিয়ে আড়াধনা।আজও চলে আসছে অশ্বত্থ গাছের পাদদেশে পূজা অর্চনা।প্রথম বছরে সন্তুষ্টি না মেলায় দ্বিতীয় বছরে আবারো স্বপ্নাদেশ পান মেদিনীপুরের মহিষাদলের বিপিন বিহারী।
আদেশ আসে গৃহস্থের পূজারী দিয়ে পূজা করতে হবে তাঁকে।তারপর গৃহপূজারী কালিপদ সিং পূজা করেন মা শীতলাকে।১৩৬৪ সালে শিবনগর আবাদ গ্রামের মুখে বেড়ি করে বছরের শীতলা অষ্টমি তীথিতে শুরু হয় পূজার্চনা।এখানকার মা শীতলা তান্ত্রীক মতে পূজিত হন।আকাশে চিল ওড়ার পাশাপাশি গ্রামের ঘরে ঘরে মন্দিরে কাঁকড়া বাইলে শুরু হয় শীতলা মায়ের পূজা।
ছদিন ব্যাপি চলে এই পূজা।ভক্তের ভক্তি আর বিশ্বাসে মা শীতলা বিরাজ করেছেন সর্বত্র।ছদিন ব্যাপী নানান উৎসবে মুখর হয়ে ওঠে শীতলা মায়ের পূজা ঘিরে।তাই আজ শিবনগর আবাদের শীতলা পূজা চিল ওড়া মেলা , কাঁকড়া মায়ের মন্দির নামে পরিচিতি পেয়েছে।পূজার অন্যতম বৈশিষ্ঠ অন্নভোগ, এলাকার ভক্তরা মন্দিরের পাশে রান্না করে বিতরনের মধ্যে দিয়ে ভোগ বাড়িতে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুনঃ আজও নিয়ম মেনে চলে রক্ষা কালীর আরাধনা
তারপরই আহার করেন গ্রামবাসি সহ আত্মীয় পরিজনেরা। মাছ ,কাঁকড়া ,সবজি রয়েছে শীতলা মায়ের অন্নভোগে।নির্মিত হয়েছে মন্দির।নিত্য পূজা নেই এই মন্দিরে।সপ্তাহে দুদিন আর বছরের ছদিন মা শীতলা পূজিত হন।তারই আশীষ পেতে আজও হাজার হাজার ভক্তের সমাগম হয় দক্ষিন সুন্দরবনের শীতলা মন্দিরে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584