আনিসুর রহমান, কোলকাতাঃ
আজ কোলকাতা হাইকোর্টে পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের ষষ্ঠ SLST লিখিত পরীক্ষায় পাশ করে ইন্টারভিউ দেওয়ার পরও শিক্ষক হওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত বলে দাবি করা ১৮৪ জনের আবেদন গ্ৰহন করলেন বিচারপতি প্রকাশ প্রতিক ব্যানার্জীর এজলাস।
সঙ্গে বিচারপতি কমিশনকে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে জানতে চান যে কোন তারিখের শূন্যপদ পর্যন্ত কমিশন নিয়োগের সুপারিশ করেছে রাজ্যের সরকার পোষিত মাদ্রাসাগুলোতে।
মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ৪.৯.২০১৮।
পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন বনাম মিজানুর রহমান আনসারী সহ মোট ১৮৪ জন আবেদনকারী দাবি করেন পর্যাপ্ত শূন্যপদ থাকা সত্ত্বেও তাদের বঞ্চিত করেছে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন।আজ প্রায় চল্লিশ মিনিট শুনানি হয় ।
গত ২৬শে জুলাই শুনানির পর আবেদনের ধরণ পরিবর্তনের সুযোগ দেন বিচারপতি।কিন্তু চাকুরিপ্রার্থীদের আইনজীবী বিশ্বরূপ ভট্টাচার্য্য যুক্তি দিয়ে আবেদনের জায়গাটা একই রাখেন। চাকুরীপ্রার্থীদের আইনজীবী কমিশনের আইনের 10.(৩) b) ধারা অনুযায়ী বিচারপতিকে বোঝাতে সক্ষম হন যে ৪/৯/২০১৬ তারিখ অর্থাৎ লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশের আগের দিন পর্যন্ত সমস্ত শূন্যপদে নিয়োগ করা উচিত ছিল । তখন বিচারপতি কমিশনের আইনজীবী কাছে জানতে চান কমিশন ৪/৯/২০১৬ তারিখ পর্যন্ত শূন্যপদে নিয়োগ করেছে কি না। কমিশনের আইনজীবী অনেকক্ষণ চুপ থাকার পর মৌখিকভাবে স্বীকার করে নেন যে কমিশন সেরকম করেনি এবং পরোক্ষভাবে ঘুরিয়ে বলেন ৪/৯/২০১৬-এর পরের কোন শূন্যপদে কমিশন নিয়োগের সুপারিশ করেনি। কমিশনের আইনজীবীর ইতস্ততঃ ভাব লক্ষ্য করে ৪/৯/২০১৬ তারিখ পর্যন্ত শূন্যপদ অনুযায়ী কমিশন সত্যি সত্যিই নিয়োগের সুপারিশ করেছে কি না তার রিপোর্ট জমা করার নির্দেশ দেন। পরে সওয়াল জবাব চলাকালীন কমিশনের উকিল বলে বসেন যে মামলাকারীরা সকলেই ‘আনসাক্সেসফুল’। এতে বিচারপতি হাসতে হাসতে ৪.৯.২০১৮ তারিখে ব্যাপারটি শুনবেন বলে জানান ।
কিন্তু, কমিশন উকিলের কয়েকটি উত্তরে কিছু প্রশ্ন তুলেছেন আবেদনকারীদের মধ্যে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চাকুরীপ্রার্থী। তার, প্রথম প্রশ্ন- “এক বিজ্ঞপ্তিতে কমিশন নাকি ১/১/২০১৪ পর্যন্ত শূন্যপদে নিয়োগ করেছে বলে স্বীকার করেছে। কিন্তু আজ কমিশনের আইনজীবী শেষের দিকে কোর্টকে জানালেন যে কমিশন ৫/৯/২০১৬ এর পরবর্তী কোনও শূন্যপদে নিয়োগ দেয়নি। অর্থাৎ আকারে ইঙ্গিতে এটা কি বোঝা যায় না যে কমিশন ১/১/২০১৪ ও ৫/৯/২০১৬-এর মধ্যবর্তী শূন্যপদে কোন নিয়োগ দেয়নি?”
সব প্রশ্নের উত্তর পেতে অপেক্ষা করতে হবে পরবর্তী শুনানী পর্যন্ত । তবে, একই বিষয় সম্পর্কিত মূল মামলার শুনানি আছে আগামীকাল সুপ্রিমকোর্টে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584