সোশ্যাল মিডিয়ার সাহায্যেই সাত বছর পর বাবাকে ফিরে পেল ছেলে

0
56

নিজস্ব সংবাদদাতা,পশ্চিম মেদিনীপুরঃ

Son found father after seven years with the help of social media
নিজস্ব চিত্র

সোশ্যাল মিডিয়ার সুফলে হারানো বাবাকে ফিরে পেল ছেলে।পশ্চিম মেদিনীপুর দাঁতন থানার ওরলাম গ্রামের বছর পঞ্চাশের খপ্পর হেমরম । গত সাত বছর আগে নিখোঁজ হয়ে যায় সে। চারিদিকে আত্মীয়রা খোঁজাখুঁজি থেকে শুরু করে বিভিন্ন থানায় তার ছবি পোস্ট করে ছেলে তার হারানো বাবাকে খুঁজে পেতে চেষ্টা করে।ছেলে ধুনা হেমরম ও স্ত্রী সোমবারই হেমরম জানতে পারে এক বছর আগে আসামের কোন একটি জায়গায় তাদের হারিয়ে যাওয়া থাপ্পর রয়েছে।যোগাযোগ করলে সেখান থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় খপ্পড়।তারপর গন্তব্যস্থল উত্তর ২৪ পরগনা সুন্দরবনের হেমনগর কোস্টাল থানা।হেমনগর এর রাস্তায় ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায় খপ্পরকে।শ্যামল মন্ডল হিঙ্গলগঞ্জ এর বিধায়ক দেবেশ মন্ডলের তত্ত্বাবধানে তাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গিয়ে স্বাস্থ্য সেবা ও শারীরিকভাবে সব রকম সাহায্য করে।তার বাড়ির ঠিকানা খুঁজে জানা যায় দাঁতন থানার ওরলাম গ্রামে।হেমনগর গ্রামে ঘোরাঘুরি করতে থাকে তখন হেমনগর কোস্টাল থানার পুলিশ আধিকারিক রাকেশ চ্যাটার্জী দাঁতন থানার সঙ্গে ছবি পোস্ট করে তার বাড়ির ঠিকানা খুঁজে পায়।গত এক মাস ধরে বাসিন্দারা একদিকে তাদের শীতের পোশাক অন্যদিকে তার দৈনন্দিন জীবনের খাওয়া-দাওয়া ,পাশাপাশি তার ছবি রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন থানা গুলিতে পোস্ট করে জানিয়ে দেন যে পঞ্চাশোর্ধ খপ্পর এইভাবে ঘোরাঘুরি করছে।

আরও পড়ুনঃ রাজনৈতিক স্বার্থ সিদ্ধিতে কন্যাকে অপহরণ বিজেপি নেতার,মত পুলিশের

হেমনগর কোস্টাল থানার পুলিশ আধিকারিক তার এই ছবি পোস্ট করতেই নজরে আসে দাঁতন থানা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ হয়।স্থানীয় প্রশাসনের এই যোগসূত্রে সমস্ত উপযুক্ত প্রমাণ দিয়ে তাদের হাতে তাদের হারানো বাবা খপ্পর হেমরমকে তুলে দেয়া হয়।রবিবার সকাল ন’টা নাগাদ খপ্পরকে তুলে দেওয়া হয় তার পরিবারের হাতে।হারানো বাবাকে ফিরে ছেলে ধুনা হেমরম খুব খুশি।এই ঘটনা আরো একবার প্রমাণ করে দিল সোশ্যাল মিডিয়ায় যেমন একদিকে কুফল আছে অন্যদিকে সুফলতা আছে।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here