পিয়া গুপ্তা,উত্তর দিনাজপুরঃ
দেবশ্রী চৌধুরীর মন্ত্রী হওয়ার ঘটনাকে ‘সেলিব্রেট’ করতে চা মিষ্টি বিতরন শুরু হলো জেলা জুরে। উল্লেখ্য,প্রয়াত কংগ্রেস নেতা প্রিয়রঞ্জন দাসমুন্সীর পরে উত্তর দিনাজপুর জেলা থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর চেয়ারে এলাকার সাংসদকে দেখার প্রত্যাশা ছিলো আপামর জেলাবাসির। কিন্তু কেন্দ্রে বা রাজ্যের ফলাফলের সাথে অনেকক্ষেত্রেই এলাকার সাংসদ, বিধায়ক এমনকি পুর নির্বাচনের ফলাফল আলাদা হতে দেখা গিয়েছে।
যার ফলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিরোধী আসনেই বসতে হয়েছে এলাকার বিজয়ী সাংসদ,বিধায়কদের৷সেকারনেই অনেকে জেলার নাম উত্তর দিনাজপুরকে ঠাট্টা করে উলটো দিনাজপুর হিসেবেও মজা করে থাকেন।১৯৯৯ সালে বিপুল ভোটে জয়যুক্ত হয়ে মনমোহন সিংহের কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভায় স্থান করে নেন তৎকালীন সাংসদ প্রিয়রঞ্জন দাসমুন্সী।দীর্ঘ ১০ বছর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থাকার পরে অসুস্থ হয়ে পরেন প্রিয়বাবু সেই জায়গায় ২০০৯ সালের নির্বাচনে জয়যুক্ত হয়ে সাংসদ হন প্রিয়রঞ্জন দাসমুন্সীর স্ত্রী দীপা দাসমুন্সী।
আরও পড়ুনঃ খাকুড়দায় বিজেপির বিজয় মিছিলে চললো মিষ্টি বিতরণ
এলাকাবাসীকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী রায়গঞ্জ থেকে কলকাতা, দিল্লি, শিলিগুড়ির রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা তৈরি করতে অনেকটাই সফল হয়ে ছিলেন প্রিয়বাবু৷কিন্তু ২০১৪ সালে রায়গঞ্জ লোকসভায় নির্বাচিত হন সিপিএমের কেন্দ্রীয় নেতা মহঃ সেলিম। কেন্দ্রে বিজেপি সরকার এবং রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার ফলে এলাকা উন্নয়নের ক্ষেত্রে অনেক কাজ হলেও জেলাবাসী দীর্ঘ দিনের দাবি এইমস এবং কলকাতা গামী দিনের ট্রেন স্বপ্ন অধরাই থেকে যায়।
২০১৯ শে দেশ জুড়ে তৈরি মোদি হাওয়া আছড়ে পরে কংগ্রেস এবং সিপিএমের শক্ত ঘাঁটি রায়গঞ্জেও লোকসভার ইতিহাসে সর্বপ্রথম রায়গঞ্জ লোকসভা আসনটিকে নিজেদের দখলে নেয় গেরুয়া শিবির।বিপুল ভোটে জয়ী হন বিজেপি প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরী।কেন্দ্রে তাই দ্বিতীয় বারের জন্য মোদি সরকারের গঠনের সাথে সাথে রায়গঞ্জ কেন্দ্র থেকে বিজেপির জয়ী প্রার্থীর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হওয়া নিয়ে আশা দানা বাঁধতে শুরু করেছিল দলের কর্মী ও এলাকার মানুষের মানুষদের মধ্যে।
৩০ তারিখ নরেন্দ্র মোদির শপথ গ্রহনের দিন যতই এগিয়ে আসছিলো, সেই প্রত্যাশার পারদ ততটাই চড়ছিলো সমর্থকদের মধ্যে। বৃহস্পতিবার সকালে রায়গঞ্জের সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীর কাছে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের ফোন আসার পরেই দীর্ঘ সেই প্রত্যাশা বাস্তবের রুপ নিয়েছে।
এদিন শপথ গ্রহনের জন্য প্রস্তুতী নিতে অমিত শাহ টেলিফোনে দেবশ্রী চৌধুরীকে নির্দেশ দিয়েছেন। এই খবর জেলায় আসার পরেই দলের কর্মী, সমর্থকদের মধ্যে কার্যত খুশির বন্যা বয়ে যায়। বিজেপির জেলা কার্যালয়ে আলাদা কোন ব্যাবস্থা করা না হলেও এদিন নিজেদের মত করে সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীর মন্ত্রী হওয়ার ঘটনাকে ‘সেলিব্রেট’ করতে দেখা গেল সাধারণ সমর্থকদের মধ্যে
পাশাপাশি নরেন্দ্র মোদি দ্বিতীয় ইনিংসে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার আনন্দে শহরজুড়ে কোথাও লাড্ডু বিতরন আবার কোথাও চায়ের দোকানদার সারাদিন বিনামূল্যে ক্রেতাদের চা খাওয়ানোর ছবি উঠে এলো। রায়গঞ্জের কর্ণজোড়ায় এক চায়ের দোকানে বিনে পয়সায় খদ্দেরদের চা খাওয়াতে দেখা গেল চা দোকানের মালিক ক্ষিতীশ বর্মনকে।ক্ষিতীশ বাবু জানান, সারা বছর চা বিক্রি করেই তার সংসার চলে।মোদি সরকারের জয়ে একদিন বিনে পয়সায় চা খাওয়াতে পেরে তিনি ভীষণ খুশী।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584