পিয়া গুপ্তা,উত্তর দিনাজপুরঃ
উত্তর দিনাজপুরের জেলা সদর রায়গঞ্জ শহর সংলগ্ন ৩৪ নং জাতীয় সড়কের কুলিক নদীর উপর গুরুত্বপূর্ণ সেতুটির সংস্কারের কাজ শুরু করেছে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি জেলার বিভিন্ন যান চলাচলের সেতুর স্বাস্থ্য সরজমিনে খতিয়ে দেখতে পরিদর্শনে নেমেছিল উত্তর দিনাজপুর জেলা প্রশাসন।কলকাতার মাঝেরহাট সেতুর আচমকা ভেঙে যাওয়ার ঘটনার পর উত্তর দিনাজপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলার বিভিন্ন সেতুর স্বাস্থ্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে উদ্যোগ নিয়েছিলেন জেলাশাসক অরবিন্দ কুমার মিনা।এরপর রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ও উত্তর দিনাজপুর জেলায় এসে বিভিন্ন সেতু পরিদর্শন করেন।তবে রায়গঞ্জ শহরের কাছে কুলিক নদীর সেতুর স্বাস্থ্য সম্পর্কে আশ্বস্ত করেছিল জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ।তাদের দাবি,কুলিক নদীর ওপর সেতুটির গঠনগত ত্রুটি এখনও পর্যন্ত নজরে আসেনি বিশেষজ্ঞদের।তবে সেতুটির আনুষঙ্গিক কিছু জিনিসের সংস্কারের প্রয়োজন। যেমন দুর্বল রেলিং সংস্কার এবং সেতুতে ওঠার আগে ও পরে জাতীয় সড়কের দুই ধারে গার্ড রেলিং বসানো জরুরি।
ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার মালদহ ডিভিশনের প্রজেক্ট ডিরেক্টর দীনেশ কুমার হানসারিয়া বলেন, কুলিক সেতুর গঠনগত ত্রুটি না থাকলেও সেখানকার রেলিং অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়েছিল,তার সংস্কার করা হয়েছে এবং সেতুটির বিভিন্ন অংশে খসে যাওয়া প্লাস্টার ও ফাটল মেরামতের কাজ চলছে।পাশাপাশি সেতুতে ওঠার মুখে বিগত দিনে দেখা গিয়েছে কিছু গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তা থেকে নদীর পাশে নেমে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে।এসব অবাঞ্ছিত ঘটনা যাতে আগামী দিনে না ঘটে সেজন্য গার্ড রেলিং বসানো হয়েছে।উত্তর দিনাজপুরের জেলা সদর রায়গঞ্জ শহরের শিলিগুড়ি মোড় থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত কুলিক সেতুর উপর দিয়ে জাতীয় সড়ক চলে গিয়েছে।উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের সংযোগকারী ৩৪ নং জাতীয় সড়কের উপর কুলিক সেতুটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সেতু। এই সেতুটির রাস্তা বন্ধ হয়ে গেলে পুরোপুরি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে শিলিগুড়ি সহ উত্তর পূর্ব ভারতের সাথে দক্ষিণবঙ্গের। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই সেতুটির সংস্কারের খবরে স্বাভাবিকভাবেই খুশি জেলাবাসী ও ব্যবসায়ীরা।তাঁরা বলেন, কুলিক নদীর সেতুর স্বাস্থ্য নিয়ে আমরা রীতিমতো চিন্তিত ছিলাম।কিন্তু জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের আশ্বাস ও সেতুতে যে সংস্কারের কাজ চলছে তাতে সাধারণ মানুষের মনে আর কোনও ভয় ভীতি কাজ করবে না।এর ফলে দুঃশ্চিন্তামুক্ত হয়ে চলাফেরা করতে পারবে যানবাহন ও সাধারন মানুষ।যদিও গোটা বিষয়টি আমল দিতে রাজি নন জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ।কর্তৃপক্ষের মালদহ ডিভিশনের প্রজেক্ট ডিরেক্টর জানিয়েছেন,জাতীয় সড়কের উপর যে কোনও ধরনের সেতুর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব কর্তৃপক্ষের।আমরা যে সংস্কারের কাজ করছি তা অত্যন্ত স্বাভাবিক। কুলিক নদীর স্বাস্থ্য নিয়ে অযথা চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। সেতুর উপর দিয়ে যানবাহন চলাচলের ব্যাপারে ভয় পাওয়ার মতো কিছু হয়নি। সেতুটির গঠনগত কোনও ত্রুটি এখনও নজরে আসেনি।
আরও পড়ুন: সনাতন ধর্মানুষ্ঠান ও হরেকৃষ্ণ উৎসব
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584