শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
আর বেসরকারি হাসপাতালের শরণাপন্ন হওয়ারও দরকার নেই। জ্বর, সর্দি-কাশির মতো এবার বাড়িতে বসেই করা যাবে করোনার পরীক্ষা।
সূত্রের খবর, খোলা বাজারে এবার অ্যান্টিজেন কিট বিক্রির অনুমতি দিতে চলেছে রাজ্য। দক্ষিণ কোরিয়ার একটি ওষুধ সংস্থাও অ্যান্টিজেন কিট তৈরি করছে। দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সও এই কিট বানিয়েছে। আইসিএমআর এর গাইডলাইন মেনে প্রথমে সরকারি হাসপাতালে পাঠানো হবে কিট। এরপর কনন্টেইনমেন্ট এলাকায় কিট ব্যবহার হবে। তারপর থেকে খোলা বাজারে এই কিট কিনতে পারবেন সাধারণ মানুষ।
মুখের ভিতর থেকে বের করা কয়েক ফোঁটা লালা রস অথবা নাক থেকে বেরোনো সামান্য সর্দি বা শ্লেষ্মা নিয়ে নিজে বাড়িতে বসে খালি চোখে পরীক্ষা করে বোঝা যাবে মানুষটি আদৌ করোনায় আক্রান্ত কি না। আইসিএমআর অনুমোদন প্রাপ্ত এই ম্যাজিক কিটের নাম কোভিড ১৯ অ্যান্টিজেন টেস্ট কিট। এই কিট বিপণনের ছাড়পত্র পেয়েছে দেশের ৮ টি সংস্থা।
আরও পড়ুনঃ ভারত-চিন সংঘর্ষে ‘শহীদ’ জওয়ানদের শ্রদ্ধাজ্ঞাপন কলকাতার এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার
ইতিমধ্যেই উৎপাদিত কিটের গুণগত মান যাচাইয়ের পর্ব শুরু হয়ে গিয়েছে। সরকার নির্ধারিত গুণমান বজায় থাকলে সংস্থাগুলির কিট বিক্রির অনুমতিও দেবে রাজ্য সরকার। মূলত উপসর্গহীন ও মৃদু উপসর্গের করোনা ভাইরাস চিহ্নিত করতে এটি কার্যকর হবে বলে মনে করা হচ্ছে। জুলাইয়ের মধ্যেই এই অ্যান্টিজেন কিট খোলা বাজারে চলে আসবে।
প্রসঙ্গত, অ্যান্টিজেন টেস্ট কিট থেকে সংক্রমণ সরানোর সম্ভাবনাও কম। পরীক্ষার পর বিধি মেনে কিট নষ্ট করাও তুলনামূলক অনেক সহজ।
ইতিমধ্যেই এই রকম ১০ হাজার কিট কিনেছে স্বাস্থ্য দফতর। পরীক্ষামূলকভাবে সেগুলি ব্যবহার করাও শুরু হবে। নতুন কিটের মান বজায় রাখতে ব্যবহারের আগে গাইডলাইন মেনে অন্তত -৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হবে।
আরও পড়ুনঃ এক ফোনে চিকিৎসা পাবেন অসুস্থরা, রাজ্যজুড়ে ‘টেলি মেডিসিন’ পদ্ধতির ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
কোথায় কত অ্যান্টিজেন কিট বিক্রি হবে, আইসিএমআর এর গাইডলাইন মেনে তার যাবতীয় তথ্য থাকবে স্বাস্থ্য দপ্তরের কাছে। তার জন্য তৈরি হবে নির্দিষ্ট মোবাইল অ্যাপ। সেখানেই তথ্য জমা হবে। রাখা হবে বিক্রি না হওয়া কিটের হিসেবও। তবে এই কিট বাজারে আসার পর মান সহ সামগ্রিক বিষয়ের উপর তীক্ষ্ণ নজরদারি থাকবে স্বাস্থ্য দপ্তরের।
বর্তমানে আরটি-পিসিআর বা ট্রুনাট পদ্ধতির সাহায্যে করোনা পরীক্ষা হয়। এই পদ্ধতিতে পরীক্ষা করতে প্রয়োজন হয় একাধিক যন্ত্রের। যা বাড়িতে বসে করা অসম্ভব। ফলে করোনা পরীক্ষার একমাত্র ঠিকানা সরকারি বা বেসরকারি পরীক্ষাগার। কিন্তু এবার থেকে বাড়িতেও করা যাবে করোনা পরীক্ষা।
তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, এই কিটের মাধ্যমে নির্ভুল ভাবে করোনা পরীক্ষা সম্ভব না হলেও ফলের ওপর মোটামুটি আস্থা রাখা যেতে পারে। এই কিটে কারও রিপোর্ট পজিটিভ এলে তাকে নিশ্চিত হওয়ার জন্য আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করাতেই হবে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584