পিয়া গুপ্তা,উত্তর দিনাজপুরঃ
শ্যামা মায়ের গানের কলিতেই ভেসে ওঠে ” মায়ের পায়ে জবা হয়ে হোক না ফুটে মন ” জবা ফুল ছাড়া শ্যামা মায়ের আরাধনাই যেন অধরা থেকে যায়। মায়ের পুজোর ফুলের মধ্যে জবা আবশ্যিক। জবার মালা মায়ের গলায় না পরালে পুজোই সম্পূর্ণ হয়না। কিন্তু হাজার হাজার কালীপ্রতিমার জন্য প্রয়োজন লক্ষ লক্ষ জবা ফুল।গাঁদাফুলের মতো জবাফুলের চাষ তো হয়না।ফলে আকাল দেখাই যায় মায়ের পায়ের জবার। তাই সেই লাল টকটকে জবাফুলের প্রয়োজন মেটাতে বাজারে এসেছে কৃত্রিম প্ল্যাস্টিকের জবাফুলে মালা।প্ল্যাস্টিকের জবার মালা তৈরিতে ব্যাস্ত এখন রায়গঞ্জ সুভাষগঞ্জের পালপাড়ার প্রতিটি পরিবার।কৃত্রিম প্লাস্টিকের জবা তৈরিতে ব্যাস্ততা শুরু।
আর মাত্র তিন দিন বাদেই শক্তির দেবী কালীর আরাধনা। মায়ের গলার লাল জবাফুলের মালার চাহিদা মেটাতে কৃত্রিম জবার মালা তৈরিতে ব্যস্ত রায়গঞ্জের সুভাষগঞ্জের পালপাড়ার মালাকারেরা। পরিবারের ছোট থেকে বড় সকলেই দিনরাত পরিশ্রম করে তৈরি করে চলেছেন প্ল্যাস্টিকের জবার মালা।এসব মালার আবার নামও রয়েছে।কোনওটির নাম চোখলতা,আবার কোনওটির নাম রজনীলতা।তবে লাল জবার মালার চাহিদা এখন তুঙ্গে।নায্য পারিশ্রমিক না পেলেও পূর্বপুরুষদের হাত ধরে চলে আসা পেশায় কিছুটা আবেগেই আজও তৈরি করে চলেছেন পালপাড়ার এই মালাকার পরিবারেরা।তবে আর হয়তো বেশীদিন নয়। উঠে যাবে তাদের এই পেশা,কেননা বর্তমান প্রজন্ম ইতিমধ্যেই মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছে পারিবারিক এই পেশা থেকে।
আরও পড়ুনঃ এসডিপিও-ই যেন তৃণমূল সভাপতি অভিযোগ মুকুলের
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584