মনিরুল হক, কোচবিহারঃ
মাদার ও যুব দুই গোষ্ঠীকে সাথে নিয়ে ২১ জুলাইয়ের শহীদ দিবস সফল করতে কোচবিহারে প্রস্তুতি সভা করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি। বৃহস্পতিবার কোচবিহার রবীন্দ্রভবনে ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়। এদিনের সভায় সুব্রত বক্সি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দলের জেলা সহ সভাপতি আব্দুল জলিল আহমেদ, বিধায়ক উদয়ন গুহ, অর্ঘ্য রায় প্রধান, জগদীশ বসুনিয়া, ফজল করিম মিয়াঁ, মহিলা সংগঠনের জেলা সভাপতি শুচিস্মিতা দেব শর্মা, জেলা যুব সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নিশীথ প্রামানিক ও ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি সাবির সাহা চৌধুরী সহ আরও অনেকে।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে থেকেই তৃণমূল কংগ্রেসের কোচবিহার জেলা সংগঠনে মাদার ও যুব গোষ্ঠীর মধ্যে বিরোধ শুরু হয়েছে। এদিনের সভায় ওই বিরোধ মেটাতে দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি কি ভূমিকা নেন, সেই দিকে তাকিয়ে ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকরা। এদিন দুই পক্ষকে মঞ্চে উপস্থিত রেখে এক্যবদ্ধ ভাবে চলার পরামর্শ দেন।
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্দিষ্ট করে মাদার বা যুব’র কোন নেতাকে আলাদা করে কোন কিছু না জানালেও দুই পক্ষকে এক্যবদ্ধ ভাবে চলার পরামর্শ দিয়েছেন। যুবকে যেমন মূল সংগঠনকে শক্তিশালী করার জন্য নির্দেশ দেন। তেমনি মূল সংগঠনের নেতৃত্বকে যুবদের নিয়ে চলার পরামর্শ দেন বলে জানা গিয়েছে।
তবে সাংবাদিকরা গোষ্ঠী বিরোধ নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করলে তিনি কার্যত উপহাস করেই বলেন, “জেলায় যারা রাজনীতি করেন তাঁদের যেমন সাংবাদিকদের প্রয়োজন রয়েছে। তেমনি জেলা সাংবাদিকদের গোষ্ঠী গল্প লেখার প্রয়োজন রয়েছে।”
যুব জেলা সাধারণ সম্পাদক নিশীথ প্রামানিক বলেন, “ মাদার ও যুবর মধ্যে কোন সংঘর্ষ নেই। কিছু কিছু লোক যারা নিজেদের মধ্যে বিভেদ তৈরি করার চেষ্টা করছেন। তাঁদের চিহ্নিত করতে হবে। সাংগঠনিক ভাবে আমরা সেই কাজ করছি।”
এদিকে এদিন ওই সভায় দলের জেলা সভাপতি তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ও জেলা যুব সভাপতি তথা সাংসদ পার্থ প্রতিম রায় অনুপস্থিত ছিলেন। জানা গিয়েছে, রবীন্দ্রনাথ ঘোষ মুখ্যমন্ত্রীর ডাকে কোলকাতায় গিয়েছেন। অন্যদিকে জেলা যুব সভাপতি অসুস্থ থাকায় দিল্লীতে রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584