নবনীতা দত্তগুপ্ত, বিনোদন ডেস্কঃ
কোভিড-১৯- এর সংক্রমণ ঠেকাতে দীর্ঘায়িত লকডাউন, আর তার দোসর বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় আমফান- দুইয়ের যৌথ উদ্যোগে আজ পুরোপুরি বিপর্যস্ত জনজীবন। পশ্চিম বাংলার গ্রামগুলির অবস্থা আজ ভয়াবহ। দিন আনি দিন খাই মানুষের কাজ নেই, ঘরে নেই খাবার। লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকেই পুরুলিয়ার প্রত্যন্ত গ্রাম তুলসি বাড়ি, চিতারমা, গোবরান্ডা বা রুকনি গ্রামে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যবসামগ্রী নিয়ে পৌঁছে গিয়েছিল সুচন্দ্রা ভানিয়া ও তাঁর টিম জাস্ট স্টুডিও সর্বোপরি ‘প্রয়াস’।
আমফান সবকিছু ওলটপালট করে দেওয়ার পর সুচন্দ্রা ফের একবার তাঁর বাহিনী নিয়ে পৌঁছে যান তুলসি বাড়ি। সেখানকার প্রত্যকন্ত গ্রামের দরিদ্র, দুঃস্থ, অসহায় মানুষদের জীবন আজ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ। একে তো লকডাউনের কারণে কাজ নেই, তার ওপর ঘূর্ণিঝড়ে দুর্দশা বেড়েছে আরও।
আরও পড়ুনঃ সমাপ্তি অবলম্বনে মৃণ্ময়ী আসছে ডিজিটালে
গত ২১ মে সুচন্দ্রা ভানিয়ার জন্মদিন উপলক্ষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তুলসি বাড়ি গ্রামে মাস্ক, প্রয়োজনীয় ওষুধ এবং বাসিন্দাদের জন্য মশারি নিয়ে পৌঁছবে জাস্ট স্টুডিও। আসন্ন বর্ষাকালে মশার উপদ্রব থেকে বাঁচতে গ্রামবাসীদের মধ্যে বিতরণ করা হবে মশারি। আমফানের কারণে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় গত ২১ মে পৌঁছনো সম্ভব হয়নি সেখানে। তবে থেমে নেই সুচন্দ্রা ভানিয়ার টিম জাস্ট স্টুডিও এবং তাদের ‘প্রয়াস’।
প্রসঙ্গত, জাস্ট স্টুডিও’র একটি মানবিক উদ্যোাগের নাম ‘প্রয়াস’। “প্রয়াস সারাবছর মানুষের পাশে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে এগিয়ে চলবে।”- জানিয়েছেন সুচন্দ্রা ভানিয়া।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584