পিয়া গুপ্তা, উত্তর দিনাজপুরঃ
ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের সদস্যা মামনি পোদ্দারের স্বামী কৃপাসিন্ধু পোদ্দারের। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছিল উত্তর দিনাজপুর জেলার গোয়ালপোখোর এলাকায়।
পরিবারের অভিযোগ,কেউ খুন করে দেহ ঝুলিয়ে দিয়েছে।
গত ৮ আগষ্ট তারিখে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ, পাঠানো হয় ময়নাতদন্তের জন্য। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে খুন নয়, আত্মহত্যাই করেছিলেন জেলা পরিষদ সদস্যার স্বামী কৃপাসিন্ধু পোদ্দার।
এদিন ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেয়ে এমনই দাবী পুলিশের। উত্তর দিনাজপুর জেলাকে দুটি ভাগ করা হয় একটি রায়গঞ্জ পুলিশ জেলা অন্যটি ইসলামপুর পুলিশ জেলা। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেয়ে ইসলামপুর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার শচিন মক্কর বলেন, ৮ তারিখ গোয়ালপোখোর থেকে একটি ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয় ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছিলো ওই ব্যক্তি নাম কৃপাসিন্ধু পোদ্দারকে খুন নয় তিনি আত্মহত্যা করেছেন। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আমাদের হাতে এসেছে। রিপোর্টে আত্মহত্যা বলেই উল্লেখ আছে।
জানা যায়, গোয়ালপোখরের ব্লকের নন্দঝাড় এলাকার বাসিন্দা কৃপাসিন্ধু বাবু স্ত্রী উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের সদস্য বর্তমানে ইসলামপুরের মিলনপল্লীতে নতুন বাড়ি গিয়েছিলেন। গত ৮ আগস্ট রাতে নন্দঝাড় থেকে ইসলামপুরের বাড়িতে এসে পৌঁছান তিনি। পরের দিন অর্থাৎ ৯ আগস্ট সকালে নতুন বাড়ির সামনে থেকেই তাঁর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
স্ত্রী মামনি পোদ্দার গত ৮ তারিখ অভিযোগ করে বলেন, কেউ উদ্দেশ্য করে খুন করে বাড়ির সামনে ঝুলিয়ে দিয়েছে স্বামীর অনেক শত্রু ছিল।
কেউ বা কারা পরিকল্পিত ভাবেই তাঁকে খুন করে ঝুলিয়ে দিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ইসলামপুরে জেলা পরিষদ সদস্যার স্বামীর দেহ উদ্ধার
অবশ্য এদিন পুলিশের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রসঙ্গে মামনি বলেন, “ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সম্পর্কে এখনও কিছু জানিনা।” তবে পুলিশ যদি আত্মহত্যাই মনে করে তাহলে তাঁর কিছু বলার নেই।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584