সৌমনা সেনগুপ্ত
চয়ন যখনই রেহানার জন্য চকলেট নিয়ে যেত তখনই ছদ্ম রাগ দেখিয়ে রেহানা বলত “আমি কি ছোটো বাচ্চা নাকি যে চকলেট নিয়ে এসেছ”।
কিন্তু চকলেট টা নিয়ে নিত মুখে একটা দুষ্টুমির হাসি নিয়ে। চয়নের কাঁধে মাথা দিয়ে চকলেট টা খেতে খেতে বলত “আমার জন্য এরকম চকলেট বিয়ের পরও আনবে তো?” চয়ন মুচকি হেসে ঘাড় নাড়ত।
আজও চয়ন চকলেট এনেছে কিন্তু মিছিমিছি রাগ দেখানোর সেই মেয়েটা আর নেই। চয়ন কিন্তু কথা রেখেছে। রেহানা আজ অ্যালজাইমার রুগী। গত ৫ বছর ধরে এক মানসিক হাসপাতাল যার আবাসস্থল। সে চিনতে পারে না তার ভালোবাসার মানুষটিকে কিন্তু চয়ন রোজ আসে আর হাতে করে নিয়ে আসে চকলেট।
চয়নকে চিনতে না পারলেও চকলেট টা হাতে পেয়ে ছোটো শিশুদের মতো ঝলমল করে ওঠে তার মুখ, যা চয়নের কাছে অনেক না পাওয়ার মধ্যেও অনেক পাওয়া। হয়ত এইভাবেই একদিন চয়ন পেয়ে যাবে তার পুরোনো রেহানাকে। যে চকলেট পেয়ে গাল ফুলিয়ে বলবে”আমি কি ছোটো বাচ্চা”।
আরও পড়ুনঃ রবিবারের গল্পঃ শীতকাতুরে
আবার নিয়েও নেবে সেই আগের মত দুষ্টুমিভরা হাসিটা দিয়ে। সেই দিনটার জন্য অপেক্ষা করবে চয়ন আর আপনারা? করবেন তো অপেক্ষা?
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584