জঙ্গলমহলের কালীপুজাের উদ্বোধনে এসে স্মৃতিচারণায় ভাসলেন শুভেন্দু

0
108

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঝাড়গ্রামঃ

কালীপুজাের উদ্বোধনে এসে জঙ্গলমহলের পাশে থাকার বার্তা দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিন তিনি মঞ্চে বক্তব্য রাখার সময় রাজনৈতিক প্রসঙ্গ ভুলে কেবলমাত্র পুরোনো দিনের স্মৃতিচারণ করেছেন। ২০১০ সালে কালী পুজাের দিন এবং ২০১১ সালের ভাইফোটার দিন তিনি জঙ্গলমহলে কাটিয়েছেন।

suvendu adhikari | newsfront.co
নিজস্ব চিত্র

ঝাড়গ্রাম জেলার লালগড় ব্লকের মাগুরা এলাকায় নরেন হাঁসদা স্মৃতি রক্ষা কমিটির উদ্যোগে একটি কালীপুজোর উদ্বোধন করেন শুভেন্দু অধিকারী । উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রয়াত ঝাড়খন্ড পার্টির নেতা তথা বিধায়ক নরেন হাঁসদার স্ত্রী চুনিবালা হাঁসদা ও তার দুই মেয়ে । এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ওই এলাকার তৃণমূলের একাধিক নেতৃত্ব । এদিন বিকেলে মাগুরা পৌঁছায় শুভেন্দু অধিকারী।

suvendu adhikari on stage | newsfront.co
কুড়ুল হাতে শুভেন্দু। নিজস্ব চিত্র

তিনি প্রয়াত ঝাড়খন্ড পার্টির নেতা নরেন হাঁসদার মূর্তিতে মাল্যদান করেন । শুভেন্দু অধিকারীকে নরেন হাঁসদার বড় মেয়ে বিরবাহা হাঁসদা আদিবাসী সমাজের পাগড়ি পরিয়ে এবং আদিবাসীদের জাতীয় অস্ত্র টাঙ্গি এবং তীর ধনুক তার হাতে তুলে দেয়। ধামসা বাজিয়ে সম্মান জানানো হয় তাকে। প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে  কালীপুজাের উদ্বোধন করেন  শুভেন্দু অধিকারী। মঞ্চে বক্তব্য রাখার পর শুভেন্দু অধিকারী বাঁধনা পরবের গানের তালে দীর্ঘক্ষণ ধামসা বাজান। মঞ্চে অনুষ্ঠানের পর মণ্ডপ পরিদর্শন করেন শুভেন্দু অধিকারী।

inauguration occasion | newsfront.co
ধামসা বাজিয়ে জঙ্গলমহলের মানুষের মন জয় করলেন শুভেন্দু। নিজস্ব চিত্র

এদিন শুভেন্দু অধিকারী কোন রাজনৈতিক মন্তব্য না করেই বলেন,”আমি প্রথমেই আপনাদেরকে সকলকে শুভ দীপাবলী ও বাঁধনা, সহরাই পরবের শুভেচ্ছা জানাই। আজ থেকে যা শুরু হল তিন দিন ধরে চলবে। জঙ্গলমহলের প্রাণের মানুষ প্রাক্তন বিধায়ক নরেন হাঁসদা। ৩৪ বছর ধরে শ্যামা মায়ের আরাধনা করে আসছে। বাঁধনা পরব, গরু খুটানের শুভেচ্ছা জানানোর জন্য এসেছি।

jangalnahal | newsfront.co
নিজস্ব চিত্র

চুনিবালা হাঁসদার সঙ্গে নির্বাচনের কাজ করেছি। ব্যক্তিগত সম্পর্কও আছে। সকলকে অভিনন্দন কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। কালী পুজো উদ্বোধনে এসে মনে পড়ে যাচ্ছে ২০১০ সালে সাঁকরাইলে চুনপাড়াতে উত্তম মাহাতো খুন হয়ে গিয়েছে। যৌথ বাহিনী যেতে দিচ্ছে না। আমি অ্যাম্বাসেডার গাড়িতে এসেছিলাম নিমপুরা দিয়ে। দেহটা তুললাম, ঝাড়গ্রাম মর্গে নিয়ে এলাম সন্ধ্যায়।

আরও পড়ুনঃ স্বাস্থ্যবিধি মেনে পূর্ব মেদিনীপুরের স্থানীয় এক ক্লাবের পুজোর উদ্বোধনে শুভেন্দু

সে দিনের দীপাবলী উৎসবটা ঝাড়গ্রামের আর্ত মানুষের সাহায্যে চলে গেল। লোধাশুলিতে কালী পুজোতে আমার ব্যক্তিগত সাহায্য আছে। ঝাড়গ্রাম, লালগড়, গিধনি কোথাও কোথাও আসি।” এদিন পাঁচ শতাধিক মানুষকে বস্ত্র বিতরণ করা হয়।

আরও পড়ুনঃ শিশু দিবস উপলক্ষে বড়িষা গ্রামের ছোট ছেলেমেয়েদের বিনামূল্যে চিকিৎসার অঙ্গীকার কোলাঘাটের চিকিৎসকের

বাঁধনা পরবের শেষ দিনে জামবনিতে আসার কথা বলেন তিনি। ২০১১ সালে লালগড়ে কালী পুজোর দিন আসতে পারিনি। ভাইফোটার দিন আইসি লালগড় অশোক বসু বলেছেন ঝিটকার জঙ্গলে মাইন্ড আছে। স্যারকে দাঁড়াতে বলুন। তাহলে সেই দিন আমার শেষ দিন হত। জঙ্গলমহলে শান্তির জন্য আমি ছিলাম আছি থাকব। সবাই ভালো থাকবেন। এই বলে মঞ্চ ছাড়েন শুভেন্দু বাবু।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here