কেশপুরে গেরুয়া সন্ত্রাস রুখে দেওয়ার আহ্বান শুভেন্দুর

0
66

নিজস্ব সংবাদদাতা,পশ্চিম মেদিনীপুরঃ

কেশপুরে এখন ভোট হলে তৃণমূল প্রার্থী এক লক্ষ ভোটে জিতবেন।লোকসভা ভোটের সময় ব্যবধান ছিল ৯১ হাজার। সম্প্রতি দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায় এর মতো বিজেপি নেতারা কেশপুরে সভা করে বলে ছিলেন কেশপুর হবে তৃণমূলের শেষপুর । সেই কেশপুর যে এখন কার্যত বিজেপির দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে তা রবিবারের জন সংযোগ যাত্রা ও সভা থেকে বুঝিয়ে দিয়েছে তৃণমূল।

Suvendu's appeal at Keshpur
নিজস্ব চিত্র

লোকসভা ভোটের ফলাফল ঘোষণার পর পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দুটি আসনের মধ্যে একটি হারাতে হয় তৃণমূলকে।ঘাটাল আসনে দেব জয়ী হলেও বিজেপি দেশে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় ফেরায় কেশপুর,ঘাটাল, দাসপুর,সবং,পিংলা, পাঁশকুড়া একের পর এক তৃণমূল নেতা কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।

আক্রান্ত হয়েছেন একশোর বেশি নেতা-কর্মী। ৩০টির বেশি তৃণমূলের কার্যালয়ে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। দখল করে নেওয়া হয়েছিল বেশ কয়েকটি কার্যালয়।

Suvendu's appeal at Keshpur
নিজস্ব চিত্র

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা জুড়ে বিজেপির গেরুয়া তান্ডব ঠেকাতে দলের নেতা কর্মীদের মনে সাহস জোগাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি দায়িত্ব দেন পরিবহন মন্ত্রী তথা প্রাক্তন রাজ্য যুব তৃণমূল সভাপতি শুভেন্দু অধিকারীকে।

দায়িত্ব পেয়েই তিনি একের পর এক খড়গপুর গ্রামীন, শালবনি,গড়বেতা,ঘাটাল ব্লকে গিয়ে মিছিল,সভা করেন। পুনরুদ্ধার করেন দখল হয়ে যাওয়া তৃণমূল কার্যালয়।

রবিবার কেশপুরের সরুই গ্রাম থেকে কেশপুর বাজার পর্যন্ত এলাকায় জন সংযোগ পদযাত্রায় পা মেলান শুভেন্দু। এরপর কেশপুরে এক সভায় বক্তব্য পেশ করেন।

Suvendu's appeal at Keshpur
নিজস্ব চিত্র

এখানে তাঁকে বলতে শোনা যায়,সিপিএমের কিছু হার্মাদ যারা বেনাচাপড়া কঙ্কাল কান্ড ঘটিয়েছে তাদের দিয়ে কেশপুর দখলে নেমেছিল বিজেপি নেতারা।আর সঙ্গে ছিল ডাস্টবিনে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া তৃণমূলের একজন নেতা।আর দুর্নীতিগ্রস্ত পুলিশ সুপার।জেলার বাইরে ৪/৫ টি ব্লক থেকে দলের কর্মী সমর্থকদের এনে মাঠ ভরানোর চেষ্টা করে কেশপুরের মানুষকে চমকাতে চেয়েছিলেন।এতে তাঁরা সফল হতে পারেন নি।কেশপুরের মানুষ ৩৪ বছরের বাম সন্ত্রাসকে রুখে দিতে পেরেছেন।

আরও পড়ুনঃ বিজেপির মিছিলে যাওয়ার অপরাধে টোটো চালকে মারধোরের অভিযোগ

এদিনের মিছিল থেকে আরও একবার প্রমান হলো কেশপুরের মানুষ বিজেপির গেরুয়া সন্ত্রাসকেও রুখে দেবেন।কেশপুরে আর কোনোদিন যে কোনো সিপিএমের হার্মাদ মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে না তা সাফ জানিয়ে শুভেন্দু জানান।

এরপর কেশপুরে পুনরায় গোলমাল পাকাতে এলে মুখের মতো জবাব পাবে লাল জামা আর মাথায় গেরুয়া ফেট্টি বাঁধা বিজেপির ভাড়া করা গুন্ডারা।

এদিন মিছিলে ছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি,জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা সিংহ হাজরা,মহম্মদ রফিক, সঞ্জয় পান।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here