সুদীপ পাল,বর্ধমানঃ
দুর্গা পুজোর শেষদিন হিসাবে বিজয় দশমীর বিশেষ তাৎপর্য আছে। দেবীর বিসর্জনের পর আপামর বাঙালী মেতে ওঠে বিজয়া উৎসবে, চলে মিষ্টি মুখ।নানান ধরনের মিষ্টি থাকলেও অতিথিদের জন্য নাড়ুর ব্যবস্থা থাকে।তিল আর নারকেলের নাড়ুর পাশাপাশি সিঁড়ি ও খইএর নাড়ুও বেশ জনপ্রিয় বিজয়ানুষ্ঠানে। এ বার সেই নাড়ুই রেডিমেড বিক্রি হচ্ছে মানকর বুদবুদ সহ বর্ধমান জেলার বাজার ও মিষ্টির দোকানগুলিতে।আগে প্রতি বাড়ির গৃহকর্ত্রীরাই নিজের হাতে তৈরি করতেন নাড়ু।সে ঝামেলা পোহাতে চাননা বলেই রেডিমেড নাড়ুর এত রমরমা।বর্ধমানের মানকর স্টেশন চত্বরের ব্যবসায়ী তাপস পাল বলেন,প্যাকেটে নাড়ুর পরিমান অনুযায়ী ১৫ থেকে ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।নাড়ুর পাশাপাশি রেডিমেড বোঁদেও মিলছে।দাম নাগালের মধ্যেই থাকে। স্থানীয় ডিলাররা দুর্গাপুর সংলগ্ন এলাকা থেকে নিয়মিত দিয়ে যায়।চাহিদাও প্রতি বছরই একটু একটু করে বাড়ছে।শুধু মাত্র বিজয়া উপলক্ষণ নয় লক্ষ্মী পুজোর উপকরণ হিসাবেও এখন রেডিমেড নাড়ু ব্যবহার করা হচ্ছে।মানকরের এক মিষ্টি ব্যবসায়ী বলেন,প্রতি বছরই একটু একটু করে চাহিদা বাড়তে বাড়তে এ বছর নারকেলের নাড়ু ৯০ টাকা কেজি দরে আর সিড়িঁ নাড়ু ৮০ টাকা কেজি দরে মিলিয়ে প্রায় তিন কুইন্টাল বিক্রি করেছি।
আউসগ্রামের কলাইঝুঁটির বুদ্ধদেব কোণার বলেন, নাড়ু করা অনেক হ্যাপা ও ব্যায়সাপেক্ষ।শুধু সিড়িঁ বা নারকেল এনে দিলেই তো হবে না তার সাথে গুড়, চিনি আরও কত উপকরণ লাগে। তার উপর মহার্ঘ গ্যাস। এত খরচের চেয়ে ‘রেডিমেড নাড়ু’ই কিনে আনা ভালো।গৃহবধূ মালবিকা সরকার জানান, আগে ঘরেই নাড়ু বানাতাম।এখন বাজারে রেডিমেড নাড়ু কিনতে পাওয়া যাচ্ছে। স্বাদও ভালো।এতে খরচা আর পরিশ্রম দুটোই বাঁচছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584