ঈপ্সিতা নায়ক
অনেক সিঙ্গেল পুরুষ / মহিলা / দম্পতি / নিউক্লিয়ার পরিবার / যৌথ পরিবার পোষ্য নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন কিন্তু পেট পেরেন্টিং সম্পর্কে কতটা অবগত আমরা! শব্দটা যতটা সহজ দায়িত্বটা একেবারেই নয়। একটা বাচ্চার মত করেই তাকে বড় করে তোলার ভার নেওয়া উচিত তাদের সকলেরই যারা পেট নিতে চান। নেহাত শখ পূরণ যেন উদ্দেশ্য না হয়ে ওঠে।
তাই পেরেন্টদের কিছু বিষয় সম্পর্কে অবশ্যই সচেতন হওয়া উচিত:
• পোষ্যের প্রয়োজন আপনার, পোষ্যের আপনাকে দরকার তা নয়। সে তার মায়ের কাছেই সুরক্ষিত এবং স্নেহবন্ধনে ভালো ছিল। আপনি তাকে একটা বেটার লাইফ দিতে পারলে তবেই তাকে তার মায়ের থেকে আলাদা করা উচিত। মনে রাখা উচিত যে সে স্বেচ্ছায় আসতে চায় নি, তাকে আনা হয়েছে।
• আপনি যে বয়সে পোষ্যের পিতা-মাতা হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন না কেন এটি নতুন বাচ্চা হওয়ার মতো দায়িত্ব নিতে হবে তাদেরও। সময় দিতে হবে, যত্ন করতে হবে।
• কোনও ব্রিডার / পোষ্য প্রাণীর দোকানের মালিক যাদের কাছ থেকে আপনি কিনেছেন তারা বাচ্চার বৈশিষ্ট্য এবং মেজাজের গ্যারান্টি দিতে পারে না। ঠিক যেভাবে চিকিত্সক একজন মহিলা একজন শিশুকে বাচ্চা প্রসব করতে সহায়তা করেছেন, ভবিষ্যতে শিশুটি কেমন হতে পারে বা কী ঘটতে পারে তা বলতে পারেন না। প্রতিটি প্রাণী তাদের নিজস্ব গুণ এবং ত্রুটি নিয়ে আসে। নিজের সন্তানের মতো তাদেরকেও গ্রহণ করতে হবে স্বাচ্ছন্দ্যে।
• আপনার পোষা প্রাণীর জন্য নিয়মমাফিক একটি ফাইল বজায় রাখুন এবং ভ্যাকসিনগুলির একটি রেকর্ড রাখুন। আপনার নিজের সন্তানের মতো পোষা প্রাণীর যত্ন নিন। নখ, চুল, শ্যাম্পু, স্নান সবকিছুর ভার আপনারই।
• আপনি কখনই নিজের বাচ্চাকে বাড়িতে লক করে বাইরে যেতে পারবেন না। সুতরাং আপনার ঘরের বাইরে চলাচল করার স্বাধীনতা সীমাবদ্ধ। পোষ্যের পিতা বা মাতা হিসাবে স্বেচ্ছায় এই আপোষ করতে প্রস্তুত হলে তবেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। এছাড়াও লং ট্রাভেলের ক্ষেত্রে অনেক পোষ্যই ক্লান্তিকর জার্নি সহ্য করতে পারে না, অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাই এক্ষেত্রেও তার সুস্থতার বিরুদ্ধে গিয়ে নিজের অবাধ বিচরণে পড়বে বাধা, শুরুতেই তা মেনে নেওয়া জরুরি।
• আপনার পোষা প্রাণীর ক্ষেত্রে নিজেই ভেট হওয়ার চেষ্টা করবেন না। একটি ভাল ভেটের পরামর্শ নিন এবং তাকে ফ্যামিলি ভেট হিসাবে পরিণত করুন কারণ তিনি একমাত্র আপনার পোষ্যের খুঁটিনাটি জানবে তার কাছে ছোটবেলা থেকে চিকিৎসা হতে থাকলে।
• তার উপর কোনও প্রশিক্ষককে জোর করে চাপাবেন না। আপনি আপনার নিজের সন্তানের সাথে এটি করবেন না হয়তো। আপনার পোষ্য তার নিজের জিনিসগুলি নিজেই শিখবে ধীরে ধীরে। ট্রেনিং নিজেরাই দিতে থাকুন অল্প-স্বল্প করে।
• আপনার পোষ্যকে খেতে জোর করবেন না। প্রয়োজনীয়টুকুই যথাযথভাবে খাওয়ান এবং তাদের ওজন পরীক্ষা করে রাখুন। কেবল তাদের স্বাস্থ্যকর এবং ফিট রাখার মাধ্যমেই তাদের জীবনেই মেয়াদ এক বছর বাড়িয়ে তুলতে পারেন আপনি।
• আপনার পোষ্যও একটি প্রাণী এবং তারও এক্সারসাইজ প্রয়োজন। আপনি দিনে বা দু’দিনে একবার নিয়মিত হাঁটতে নিয়ে যান। সময় পেলেই খেলুন তাদের সাথে। তাদের সক্রিয় রাখুন, তাদের ফিট রাখার এটাও একটা উপায়।
• আপনি যদি আপনার বিছানায় আপনার পোষা প্রাণীকে অনুমতি না দিতে পারেন তবে কোনও পোষ্য কেন পিতামাতা হিসাবে গ্রহণ করবে তার মনিবকে। কোনো পোষ্য আপনার নিজের সন্তান। বাড়ির সমস্ত কিছুর কাছে তার সম্পূর্ণ অ্যাক্সেস থাকবে।
• আপনার পোষা প্রাণীটি ততদিন বেঁচে থাকবে না,যতদিন আপনি থাকবেন। সুতরাং এভরি মিনিট কাউন্টস, তার সাথে খুশিতে সময় কাটান। তাকে খুশি রাখুন আর নিজেও থাকুন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584