তাঁতি বাগ বায়তুল মাল সোসাইটির উদ্যোগে ত্রাণ বিতরণ হরিশ্চন্দ্রপুরের বন্যার্তদের

0
244

উমার ফারুক,নিউজ ফ্রন্ট,হরিশ্চন্দ্রপুর,২৫সেপ্টেম্বর:

মালদা জেলার অধিকাংশ ব্লক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত।বন্যা দুর্গত মানুষের পাশে ত্রাণ নিয়ে ছুটে এসেছে সুদূর কলকাতা থেকে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা তাঁতি বাগ বায়তুল মাল সোসাইটি।সংস্থার উদ্যোগে এদিন মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর ২ব্লকের দৌলত নগর গ্রাম পঞ্চায়েতের শিরিষবোনা,ভৈরবপুর ও ভালুকা গ্রাম পঞ্চায়েতের জগন্নাথপুর গ্রামে ত্রাণ বিত্ররণ করা হয়।

শিরিষবোনা মডার্ন ক্লাব এন্ড লাইব্রেরি প্রাঙ্গনে ১১০টি পরিবারকে নগদ একহাজার টাকা করে তুলে দেন সংস্থার সম্পাদক সুলতানুল হক।তিনি জানান-মালদার বন্যা দুর্গত মানুষের জন্য আমরা বিভিন্ন মসজিদ, বাজার,রাস্তার পথ চলতি ব্যক্তির নিকট থেকে টাকা সংগ্রহ করি।বিপদ গ্রস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ানো মানবিক কর্তব্য,এই কর্তব্য পালনে কলকাতা থেকে মালদায় ছুটে এসেছি।ত্রাণ বিতরণে উপস্থিত ছিলেন সংস্থার সহ সম্পাদক মনসুর আলম,সহ সভাপতি তারিক হাসান,সদস্য ইকবাল মোস্তফা, জাভেদ আখতার,নেহাল হায়দার,জামিল আহমাদ, সামীম আখতার,মহ:ফয়সাল প্রমুখ।ত্রাণ বিতরণের কাজে সহায়তা করেন দেওয়ান আবদুল গনি কলেজের অধ্যাপক ড.মহম্মদ ইসমাইল,শিক্ষক শহীদুল্লাহ মহাশয়।ত্রাণ বিতরণে মূলত অসহায়,দুঃস্থ, বিধবা,ভিক্ষুক ও প্রতিবন্ধী দের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়।স্থানীয় বাসিন্দা খাইরান বেওয়া, বিলকিস বেওয়া প্রমুখ সংস্থার উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন-বন্যায় আমাদের একমাত্র মাথা গোঁজার ঠাঁই ও হারিয়ে গেছে।ঘরছাড়া অবস্থায় বহু কষ্টে জীবন যাপন করছি।এই টাকাতে অন্তত চাটাইএর একটি ঘর তৈরি করে থাকবো।প্রতিবন্ধী সাহাবুদ্দিন বলেন-বন্যায় ভিক্ষা করতে যাওয়ার পথও বন্ধ হয়ে যাওয়ায় নিরুপায় হয়ে পড়ি।বন্যার পর এই প্রথম একহাজার টাকা দেখলাম, এতে আমার কিছু দিনের খাওয়ার জোগাড় হবে।

এলাকার বাসিন্দা অধ্যাপক ড.মহম্মদ ইসমাইল সাহেবের বাবা ফরমান আলি মহাশয় জানান-দীর্ঘ একমাসের ও অধিক ২১টি গৃহহীন পরিবার আমার বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে আছেন,তাদের অবস্থা খুবই করুণ।মালদার অন্যান্য বন্যা কবলিত অঞ্চলে খুব শীঘ্রই ত্রাণ নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংস্থার সম্পাদক।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here