নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতাঃ
শিক্ষকতা ছাড়াও নির্বাচন, করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় অংশগ্রহণ সহ ধরণের সরকারি কাজে গভ:স্পন্সর্ড ও গভ:এডেড স্কুলগুলির শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অংশগ্রহণ করতে হয় কিন্তু আজও তাঁদের সরকারি কর্মচারীর স্বীকৃতি মেলেনি। সেই স্বীকৃতির দাবিতেই সোমবার “অল পোস্ট গ্র্যাজুয়েট টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন” শিক্ষামন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বিকাশভবনে চিঠি জমা দিল। শুধুমাত্র শিক্ষামন্ত্রী নয়, একই দাবি জানিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে স্কুল শিক্ষা সচিব ও কমিশনারকেও।
সংগঠনের পক্ষ থেকে মূলত ১৪ দফা দাবি জানানো হয়েছে চিঠিতে :
১) অন্যান্য সরকারি চাকরির মতো পদোন্নতির সুযোগ নেই শিক্ষকতায়। তাই গভ:স্পন্সর্ড ও এডেড স্কুলের অনার্স/ পিজি শিক্ষকদের চাকরির ৮,১৬ এবং ২৫ বছরে কেরিয়ার অ্যাডভান্সমেট স্কীম (CAS) এর সুযোগ দিতে হবে।
২) ০১. ০১.২০১৬ থেকে পিজিটি স্কেল দিতে হবে।
৩) গভ: স্পন্সর্ড ও এডেড সহ মাদ্রাসা শিক্ষকদের রাজ্য সরকারের হেলথ স্কিমের আওতায় আনতে হবে এবং EL চালু করতে হবে।
৪) সকল গভ: স্পন্সর্ড ও এডেড স্কুলের শিক্ষকদের সরকারি কর্মচারীর স্বীকৃতি দিতে হবে।
৫) সব স্কুলে অনার্স / পিজিটি পোস্টের সংখ্যা বাড়াতে হবে এবং কোন ভাবেই এই পোস্টগুলিকে গ্র্যাজুয়েট পোস্টে পরিবর্তন করা যাবে না।
৬) পিতৃত্বকালীন ছুটির ঊর্ধ্বসীমা করতে হবে ১৮০ দিন।
৭) অনার্স পোস্টে কর্মরত শিক্ষকদের পিজি ডিগ্রি করার জন্য ডিআই এর প্রাক অনুমোদন পদ্ধতি বাতিল করতে হবে এবং পিজি ডিগ্রি অর্জনের পর পিজি স্কেল দিতে হবে। যেহেতু বর্তমান নিয়েমে “অনার্স টিচার” নিয়োগ বন্ধ,তাই বর্তমান অনার্স শিক্ষকদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে তাঁদের পিজি ডিগ্রী অর্জনের ব্যবস্থা করতে হবে।
৮) পিএইচডি ও এমফিল ডিগ্রি প্রাপ্ত শিক্ষকদের প্রাপ্য ইনক্রিমেন্ট দ্রুত দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
৯) অনার্স পোস্টে কর্মরত শিক্ষকদের পিজি ডিগ্রি থাকলে দ্রুত পিজি স্কেল দিতে শিক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে একটি নোটিফিকেশন প্রকাশ করতে হবে । কোন ভাবেই তাঁদের পিজি স্কেল থেকে বঞ্চিত করা যাবে না।
১০) করোনা সংক্রমণকে লিভ রুলের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। সর্বাধিক ৩০ দিন সবেতন ছুটির জন্য লিভ সার্ভিস রুলে সংযোজন করতে হবে।
১১) লেট অ্যাপ্রুভাল এর ফলে কয়েকবছরে বকেয়া বেতন দীর্ঘ দিন ধরে শিক্ষা দপ্তরে আটকে আছে, দ্রুত তা সমাধান করতে হবে। এছাড়াও বিএড প্রশিক্ষণ জনিত কারণে লস্ট ইনক্রিমেন্ট ( মেমো নং – 118- SE/S/10M-29/16 Dated 06 এবং 22MF Dated 01.03.2019) সহ নানা বিধ বকেয়াগুলি সত্বর দিতে হবে।
১২)২০১৬ এর আগে নিযুক্ত যে সকল শিক্ষক স্নাতক অথবা স্নাতকোত্তরে ৫০ শতাংশ নম্বর না থাকায় বিএড প্রশিক্ষণ নিতে পারেননি তাদের বি. এড প্রশিক্ষণের সুযোগ দিতে হবে।
১৩)সমস্ত জেলায় শিক্ষকদের পিএফ-এর হিসাব আপ টু ডেট রাখতে হবে এবং অনলাইন পিএফ এর ব্যবস্থা করতে হবে । পিএফ লোন অনলাইনের মাধ্যমে ৭দিনের মধ্যে পেমেন্ট করার ব্যবস্থা করতে হবে।
১৪) অন্যান্য সরকারি কর্মচারীদের মতোই শিক্ষকদের নিজস্ব আইডি নং অনুযায়ী আইডেনটিটি কার্ড অতিসত্বর দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে, করোনা পরিস্থিতিতে স্কুল যাতায়াতের জন্য আইকার্ডটি বিশেষ প্রয়োজন।
আরও পড়ুনঃ করোনা টিকা নিয়ে অন্ধ স্বামী, আর্থিক সাহায্য করা যায় কি না খতিয়ে দেখার নির্দেশ এলাহাবাদ হাইকোর্টের
এছাড়াও, এদিন মাদ্রাসার জেনারেল আবেদনের সময়সীমা পুনরায় বৃদ্ধি না করার ডেপুটেশন কপি আধিকারিকদের জমা দেওয়া হয়। ৩০শে জুন পর্যন্ত আবেদনের সময়সীমা বাড়ানো হয় শেষ নোটিফিকেশনে। ৩০ শে জুন আবেদনের সময়সীমা পূরণ করে জুলাই মাসে কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের সেক্রেটারি, চেয়ারম্যান ও ডিএমইকে আবেদন পত্র জমা দেওয়া হয়।মাদ্রাসা মন্ত্রী গোলাম রাব্বানীকেও এই বিষয়ে পদক্ষেপ নিতেও চিঠি দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ‘মহিলাদের একাধিক বিবাহের অনুমতি’ প্রস্তাব দক্ষিণ আফ্রিকায়
এদিনের কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের বেশ কিছু শিক্ষক সদস্য। সংগঠনের সম্পাদক চন্দন গরাই বলেন, “সকল শিক্ষক শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীদের সরকারি কর্মচারীর স্বীকৃতি প্রদান করে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা প্রদান করুক রাজ্য সরকার। আইকার্ড দেওয়ার জন্য বারবার বলা হলেও কাজ অসমাপ্ত।”
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584