সুদীপ পাল,বর্ধমানঃ
সম্প্রতি রোগীর পরিবারের সাথে বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হয়ে জুনিয়র ডাক্তারেরা কর্মবিরতি ডেকেছিলেন। বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল তার ব্যতিক্রম ছিল না।
সে ঘটনার রেশ মিটলেও হাসপাতালের তরফ থেকে রোগীদের সাথে কিভাবে কথা বলতে হবে, মৃত্যুর খবর কিভাবে জানাতে হবে ইত্যাদি বেশ কয়েকটি বিষয়ে পাঠদান করা হবে জুনিয়র ডাক্তারদের এবং পরবর্তীকালে সেটি পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত হবে বলেও জানা যাচ্ছে। এটি যেমন একটি দিক, অন্যদিকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিরাপত্তারক্ষীদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
একসময় বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের দায়িত্বে ছিলেন মাত্র ৩৮ জন বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষী। বর্তমানে পাহারা দেন ৩৩০ জন,অর্থাৎ প্রায় দশ গুণ করার পরেও নিরাপত্তা নিয়ে নিয়মিত অভিযোগ হাসপাতালে অন্দরেই রয়েছে।
নিরাপত্তা সংক্রান্ত বৈঠকের পর ঠিক হয়েছে বেসরকারি নিরাপত্তা রক্ষীদেরও দক্ষতা বাড়ানোর জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। জেলা পুলিশ ট্রেনিং স্কুলে বিশেষ প্রশিক্ষণ হবে এই মাস থেকেই। ধাপে ধাপে প্রশিক্ষণ শুরু হওয়ার কথা।
আরও পড়ুনঃ ফালাকাটায় বিপর্যয় মোকাবিলা প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এনআরএস কাণ্ডের জেরে বর্ধমান মেডিকেল কর্মবিরতি শুরু হয়েছিল। কর্মবিরতির দ্বিতীয় দিনে রোগীর পরিজন ও বহিরাগতদের একাংশের সঙ্গে: সংঘর্ষ বেধে ছিল জুনিয়র ডাক্তারদের।
হাসপাতাল সুপার উৎপল দাঁকেও নিগ্রহ করা হয়।পরবর্তীতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বর্ধমান সদর) প্রিয়ব্রত রায় হাসপাতালে পৌঁছে অবস্থা সামাল দেন। ১৭ জুন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে জুনিয়ার চিকিৎসকদের বৈঠকের রাতেই কর্মবিরতি ওঠে বর্ধমানে।
বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নোডাল অফিসার হন ডিএসপি (হেডকোয়ার্টার) শৌভিক পাত্র।
জেলা পুলিশ সূত্রে খবর, বর্ধমান পুলিশ লাইনে পৃথক দল করে নির্দিষ্ট সময় ধরে পুলিশের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে রক্ষীদের। পরীক্ষা করা হবে শারীরিক সক্ষমতা। কার কিরকমের প্রশিক্ষণের প্রয়োজন তারপরে তা ঠিক হবে।
সুতরাং বলা যায় হাসপাতালে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে উঠে পড়ে লেগেছে পুলিশ প্রশাসন থেকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সকলেই।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584