পিয়া গুপ্তা,উত্তর দিনাজপুরঃ
স্কুলে বিদ্যুৎ থাকলেও কোন কোন স্কুলে নেই পর্যাপ্ত ফ্যান তাই প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস পরিস্থিতি উত্তর দিনাজপুর এর স্কুলের ছাত্র ছাত্রীদের।তাই জেলার সমস্ত স্কুল এ মর্নিং সেশনে করার দাবি উঠেছে।শিক্ষক সংগঠনগুলির পাশাপাশি অভিভাবক মহলও এই দাবি তুলেছে।গরমে জেলার একাধিক স্কুলের পড়ুয়ারা অসুস্থ হয়ে পড়ছে বলে দাবি অভিভাবকদের।
শিক্ষকরা জেলা শিক্ষা দফতরে পড়ুয়াদের অসুস্থতার বিষয়টি জানিয়ে দেন।পাশাপাশি তাঁরা সকালে স্কুল করার দাবি জানান।শিক্ষক সংগঠনগুলি বলছে, প্রচণ্ড গরমে স্কুলে পড়ুয়ার উপস্থিতি কমছে। সব স্কুলে পর্যাপ্ত ফ্যান নেই।অনেক স্কুলের চাল টিনের তৈরি।তাই গরমে শ্রেণীকক্ষে বসে পড়ুয়ারা নাজেহাল হচ্ছে।এমন অবস্থায় স্কুলগুলি মর্নিং সেশনে স্থানান্তর করা হলে কিছুটা হলেও সমস্যা লাঘব হবে।
যদিও রাজ্য থেকে কোনও নির্দেশ না আসায় সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে না ।অন্যদিকে উত্তর দিনাজপুর জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (প্রাথমিক) সুজিত মাইতি জানিয়েছেন,’গরমের ক’দিন মর্নিং সেশনে স্কুল করার বিষয়টি ভাবছি।’
আরও পড়ুনঃ ফণী’র আতঙ্ক শেষে গরমের দাবদাহ
পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির উত্তর দিনাজপুর জেলার সভাপতি গৌরাঙ্গ চৌহান বলেন, জেলায় তীব্র দাবদাহ চলছে। এতে পড়ুয়াদের পাশাপাশি শিক্ষক শিক্ষিকাদেরও হাঁসফাঁস অবস্থা।অনেক পড়ুয়াই স্কুলে এসে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। আমরা ইতিমধ্যেই সংগঠনের পক্ষ থেকে জেলা শিক্ষা দফতরে সকালে স্কুল করার দাবি জানিয়েছি।
অভিভাবকদের দাবি, স্কুলে বিদ্যুৎ থাকলেও অনেক স্কুলেই পর্যাপ্ত ফ্যান নেই। বড় শ্রেণীকক্ষে দু’টি বা তিনটি ফ্যান দরকার থাকলেও একটি ফ্যান রয়েছে। সকাল সকালই রোদ উঠছে।বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাপ আরও চড়ছে।মর্নিং সেশনে স্কুল হলে কিছুটা রেহাই পাওয়া যাবে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584