সিমা পুরকাইত, দক্ষিণ ২৪ পরগণাঃ
বুলবুলের দাপটে ক্ষতিগ্রস্ত সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ অঞ্চল, বসতবাড়ি থেকে মাছের ভেড়ি। তছনছ হয়ে গিয়েছে চাষের জমিও। ক্ষতির মুখে পরে আতঙ্কে দিন গুনছেন দক্ষিণ সুন্দরবনবাসী।
২০০৯ সালে আইলার দুঃস্বপ্ন ভুলতে না ভুলতেই ২০১৯ সালে চলতি মাসে নেমে পরে বুলবুল ঘূর্ণিঝড়। দক্ষিণ সুন্দরবনের অধিকাংশ বাঁধ ভেঙে আতঙ্কের চেহারা নিয়েছে ইতিমধ্যেই।
পাথরপ্রতিমা ব্লকের জি প্লট গ্রাম পঞ্চায়েতে খেটে খাওয়া প্রায় ত্রিশ থেকে চল্লিশ হাজার মানুষের বাস। এই পঞ্চায়েতে দক্ষিণ সীতারামপুর এলাকায় ভেঙেছে ২০০০ মিটার নদী বাঁধ। আইলায় ক্ষতি হওয়া বাঁধ ইটের ব্লক, সঙ্গে গার্ড-ওয়াল দিয়ে তৈরি হয় কংক্রিট মজবুত বাঁধ।
আরও পড়ুনঃ পাকা ধানে মই বুলবুলের
তবে শনিবার বিধ্বংসী ঝড়ে ভেঙে পড়ে বাঁধ। তড়িঘড়ি যুদ্ধকালীন তৎপরতায় বাঁধের কাজ শুরু করে সেচ দফতর। বিপদকালীন বাঁধ দিয়ে কোনও ক্রমে রক্ষা করছে গ্রাম, যা পেয়ে সন্তুষ্ট নন এলাকাবাসী। দক্ষিণ সীতারমপুর গ্রামের জগদ্দল নদীর পশ্চিম প্রান্তে কংক্রিটের বাঁধ র্নিমিত না হলে এক হাজারেরও বেশি পরিবার ভেসে যাবে জগদ্দল নদীর গর্ভে।
আরও পড়ুনঃ বুলবুলের তান্ডবে ট্রলার উল্টে মৃত ১, নিখোঁজ ৮
বাঁধ নিয়ে সমস্যার কথা বলেছেন এলাকার সদস্যরাও। আতঙ্কের রেসে দিন গুনছেন জি-প্লট দ্বীপের গ্রামপঞ্চায়েতের দক্ষিণ সীতারামপুর বাসিন্দারা। শুধু বাঁধ নয়, ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পরে কাঁচা বাড়ি নষ্ট হয়েছে। হারিয়ে গেছে চাষের জমি। উজার হয়েছে ঝাউ বন। ঝড়ের গ্রাসে মৃত্যু হয়েছে গৃহপালিত পশুর। বুলবুলের আতঙ্কের চেহারায় ক্ষতিগ্রস্তদের এখন হতশার মুখ।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584