তপন চক্রবর্তী,উত্তর দিনাজপুরঃ
শুক্রবার উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ প্রেস ক্লাবে কালিয়াগঞ্জ পরিবেশ ও নদী বাঁচাও কমিটির উদ্যোগে নদীর নাব্যতা ও জল সংরক্ষণ নিয়ে একটি আলোচনা চক্র অনুষ্ঠিত হয়।আলোচনা চক্রের প্রধান বক্তা ছিলেন বিশ্বভারতী বিদ্যালয়ের অধ্যাপক তথা বিশিষ্ট নদী বিজ্ঞানী ডঃ মলয় মুখোপাধ্যায়।উপস্থিত ছিলেন বর্ধমান বিশ্ব বিদ্যালয়ের অধ্যাপক সুকান্ত দাস ও রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশিষ্ট অধ্যাপক ডঃ তাপস পাল।
আলোচনায় অংশগ্রহণ করে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশিষ্ট অধ্যাপক তথা নদী বিজ্ঞানী বলেন আমরা এবং আমাদের সরকার উভয়ের অবহেলায় আমাদের ঐতিহ্যবাহী নদীগুলোকে হারাতে বসেছি।আমরা জানিনা প্রকৃতি আমাদের কাছে কতটা অসহায় বোধ ঝরছে।অথচ আমরা তার অসহায় বোধকে কোন গুরুত্বই দিয়ে থাকিনা।এর ফল আগামীতে ভয়াবহ।
আরও পড়ুনঃ চাষের কাজে জলের অপব্যবহার রোধে আর্জি স্থানীয়দের
আমরা আমাদের পরিবারের সুখ দুঃখ যেমন বুঝে থাকি একইরকম ভাবে নদীর দুঃখকেও গুরুত্ব দিয়ে তার দুঃখের অবসান ঘটাতে আমাদেরকেই এগিয়ে আসতে হবে।কালিয়াগঞ্জের শ্রীমতি নদীই নয় পশ্চিমবঙ্গের অনেক নদীর অবস্থা আজ বিপন্ন হতে বসেছে।মানুষ এখন নদীর চর ব্যবহার করে ফসল ফলাচ্ছে তার জল ব্যবহার করে।খুব শীঘ্রই এমন দিন আসছে যে ফসল ফলাতে খুব সামান্য জলের প্রয়োজন হবে।
সেই ফসল নিয়ে বিজ্ঞানীরা অনেকটাই এগিয়ে গেছে।চাষীদের জল নিয়ে আর মাথা ঘামাতে হবেনা,ডিপ টিউব অয়েল,সাব মার্শাল থেকে আর জল তুলে চাষ করতে হবেনা ।সেই দিন প্রায় সমাগত।আর এইসব করার একমাত্র কারণই হল আমাদের সবার প্রানের নদীর আগের রূপ আমরা দেখতে চাই বলেই।তাই নদীর উৎসমুখকে আমাদের খুঁজে বের করতে হবে।
চিহ্নিত করতে হবে সেই নদীর উৎস।এ ব্যাপারে আমাদের এখুনি সবাইকে নদী আন্দোলনে নদীকে বাঁচাতে আমাদের মাঠে নামতে হবে বলে মলয় মুখোপাধ্যয় জানান।আলোচনা চক্রে বক্তব্য রাখেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সুকান্ত দাস এবং রায়গঞ্জ বিশ্ব বিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডঃ তাপস পাল।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই কালিয়াগঞ্জ পরিবেশ ও নদী বাঁচাও কমিটির পক্ষ থেকে দুই অতিথির হাতে ক্ষুদ্র উপহার মোমেন্ট ও উত্তরীয় পরিয়ে দেন পরিবেশ ও নদী বাঁচাও কমিটির উপদেষ্টা স্বপন নন্দী,যুগ্ম সম্পাদক স্বপন ব্রম্ম,যুগ্ম সম্পাদক প্রসূন দাস ও দীপক গুহ।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584