সুদীপ পাল,বর্ধমানঃ
বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিল ইতিহাস পরীক্ষা দেবে বলে। কিন্তু পরীক্ষা সেন্টারে পৌঁছাতে পারল না।তার আগেই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে গুরুতর জখম হয়ে ভর্তি হতে হল হাসপাতালে।কিন্তু পরীক্ষাটি যে মাধ্যমিক।এই বছর পরীক্ষায় না বসলে নষ্ট হবে একটি বছর।
সেই দুর্ঘটনার মুহূর্তে দাঁড়িয়েই তাই ছাত্রীরা সিদ্ধান্ত নিল পরীক্ষা দেওয়ার।প্রশাসন সাহায্য করলেন যথাযথ।মহেশবাটি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বসেই পরীক্ষা দিল দুজন ছাত্রী। তাদের সেন্টার রয়েছে বর্ধমানের রায়না ব্লকের স্বামী ভোলানন্দ বিদ্যালয়ে।
আরও পড়ুনঃ ফেরার পথে বাইক দুর্ঘটনায় আহত মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী
বোরো বলরাম উচ্চ বিদ্যালয়ের এই দুই ছাত্রী বৈশাখী ক্ষেত্রপাল ও শিল্পা ক্ষেত্রপালের পরীক্ষার সাথে সাথে চলছে চিকিৎসাও।উপস্থিত থাকছেন ডাক্তারবাবুরা এবং নার্সরা। পরীক্ষা দিতে গিয়ে যাতে শারীরিক ভাবে আর অবনতি না হয় সে বিষয়ে নজর রাখছেন তাঁরা।
তবে দুর্ঘটনার ফলে গুরুতরভাবে জখম হয়েছে দুজনেই।ভোলানন্দ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানান,পরীক্ষায় নিয়ম আছে বিশেষ ক্ষেত্রে ১৫ মিনিট থেকে ৩০ মিনিট বাড়তি সময় দেওয়ার এক্ষেত্রে এই দুই ছাত্রীকে তা দেওয়া হবে। তারা যাতে নির্বিঘ্নে পরীক্ষা দিতে পারে সে জন্য বিশেষ ইনভিজিলেটরেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে।
স্থানীয় ব্লক প্রশাসনও পাশে দাঁড়িয়েছে ছাত্রীদের।আগামী দিনগুলিতে ছাত্রীরা পরীক্ষার কেন্দ্রে গিয়ে পরীক্ষা দেবে নাকি এই হাসপাতাল থেকেই পরীক্ষা দেবে তা একান্ত ভাবে তারাই ঠিক করবে বলেও জানা গেছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584