নিজস্ব সংবাদদাতা, উত্তর ২৪ পরগনাঃ
‘জয়ললিতা কিংবা লালু প্রসাদ যাদবের মতোই অবস্থা হবে মমতার।’ মঙ্গলবার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে এমনই দাবি করলেন সাংসদ অর্জুন সিং।
বাড়ি ফেরার আগে তিনি বেলঘড়িয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে যান বনধের দিন আক্রান্ত দলীয় কর্মীদের দেখতে।তারপর সেখান থেকে ব্যারাকপুর আদালতে।
ওখানে তিনি বনধের দিন গ্রেফতার হওয়া দলীয় কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন।আদালত থেকে জগদ্দলের মজদুর ভবনের বাড়িতে তিনি আসেন।
মজদুর ভবনে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, প্রশাসন বলছে তার সাংসদ এবং তার ছেলের উস্কানিতে ঘটনা ঘটেছে।এর উত্তরে সাংসদ অর্জুন সিং বলেন,এডিজি (আইন শৃঙ্খলা) জ্ঞানবন্ত সিং মমতার প্রবক্তা হয়ে গিয়েছেন।
ওনার বয়ান শুনে তিনি মর্মাহত।একজন আই পি এস অফিসারের মাথায় অশোক স্তম্ভ আছে।সেই অশোক স্তম্ভ উনি মমতার কাছে বন্ধক রেখেছেন।
আরও পড়ুনঃ পার্টি অফিস দখল ঘিরে রণক্ষেত্র ব্যারাকপুর, সংঘর্ষে মাথা ফাটল অর্জুনের
এদিন তিনি ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, “বাংলায় কেউ নিরাপদ নন।সাংবাদিক থেকে শুরু করে চিকিৎসক, শিক্ষক,আইনজীবী,শ্রমিক শ্রেণী,মহিলারা কেউই সুরক্ষিত নেই।আসলে দিদিমণি যেনতেন প্রকারে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চাইছেন।”
প্রশাসনকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “পশ্চিমবাংলায় পুলিশের মেরুদন্ড একেবারে ভেঙে গিয়েছে।উর্দি পরে পুলিশ মমতার পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করছে।”
সাংসদের অভিযোগ, পুলিশ কমিশনার নিজে কিংবা দুষ্কৃতী লাগিয়ে তাকে খুন করার চক্রান্ত করছে।তার দাবি,পুলিশ কমিশনারের কাছে অভিযোগ জানাতে গেলে অভিযোগ নেওয়া হয়নি।তাই কলকাতা হাই কোর্টে মামলা দায়ের করা হবে।
যদিও রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জগদ্দলের ঘটনার জন্য সাংসদ এবং তার পুত্র বিধায়ককে দায়ী করেছেন।জ্যোতিপ্রিয় প্রসঙ্গে তিনি জানান, “এক ব্যক্তির স্ত্রীকে উনি জোর করে রেখে দিয়েছেন।ওই মহিলার স্বামী কলকাতা হাই কোর্টে মামলা দায়ের করেছেন।এই তো বাংলার মন্ত্রীদের অবস্থা।”
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584