নিজস্ব সংবাদদাতা,পূর্ব মেদিনীপুরঃ
লোকসভা ভোটে রাজ্যের কয়েকটি লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের ভরাডুবি হলেও পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক ও কাঁথি লোকসভা আসনে জয়লাভ করেছে তারা।যদিও গতবারের চেয়ে ভোটের ব্যবধান অনেকটাই কমেছে।এমনকী ভোট প্রাপ্তির নিরিখেও জেলার বেশ কিছু গ্রাম পঞ্চায়েত ও পুরসভার ওয়ার্ডে বিজেপির চেয়ে পিছিয়ে রয়েছে শাসকদল।
এই পরিস্থিতিতে লোকসভা ভোটের ফল পর্যালোচনা ও পরবর্তী কর্মসূচি নিয়ে বৈঠক ডেকেছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।শুক্রবার তমলুক শহরের সুবর্ণজয়ন্তী ভবনে এই বৈঠকে জেলায় দলের সমস্ত ব্লক, অঞ্চল সভাপতি ও বিভিন্ন শাখা সংগঠনের পদাধিকারী, পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি, জেলা পরিষদের পদাধিকারী ও বিধায়কদের ডাকা হয়েছে বলে দলীয় সূত্রে খবর।
এ দিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী,রাজ্যের পরিবহন ও সেচমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী, তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী, সাংসদ মানস রঞ্জন ভুঁইয়া,জেলার সভাধিপতি দেবব্রত দাস প্রমুখ।এ দিন পর্যালোচনা সভায় জেলা তৃণমূল সভাপতি ও সাংসদ শিশির অধিকারী বলেন, “২০০৬ সাল থেকে আমি এই জেলায় দলের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি।লোকসভা ভোটে দলের পক্ষে-বিপক্ষে কে কি করেছে সেটা আমরা জানি।
আরও পড়ুনঃ ধুলিয়ানে তৃণমূলের সম্বর্ধনা সভায় একসাথে চলার আহ্বান জেলা সভাপতি
কিন্তু তাদেরকে অভিনন্দন জানাই।” তিনি আরও বলেন, “এখনও তৃণমূলের প্রতি সাধারণ মানুষের পুরোপুরি আস্থা রয়েছে।সেই আস্থাকে আমাদের ধরে রাখতে হবে।মানুষের কাছে আমাদের গ্রহনযোগ্যতা বাড়াতে হবে।সবাইকে নিয়েই দলের স্বার্থে কাজ করতে হবে।”
সভায় রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক তথা পরিবহন ও সেচমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ১৬টি বিধানসভার মধ্যে ১৪টি বিধানসভায় তৃণমূল লিড পেয়েছে।বাকি এগরা ও পাঁশকুড়া পশ্চিম বিধানসভা তৃণমূলের ভরাডুবি হয়েছে।তাই এবার আমাদের সংগঠনকে মজবুত করতে হবে।আমাদের নজরে আছে কে কি করছে না করছে।
আমি রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক রয়েছি।আমি মনে করলে যারা দলবিরোধী কাজ করবে তাদের দল থেকে বার করে দেব।অঞ্চল, যুব, ব্লক সভাপতিদের দলের স্বার্থে সবাইয়ের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করতে হবে।আমি নিজে এগরা ও পাঁশকুড়া পশ্চিম বিধানসভাটা দেখব।”
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584