পিয়া গুপ্তা,উত্তর দিনাজপুরঃ
গন্ধে সেরার তকমা জুটলেও দাম পাচ্ছে না উত্তর দিনাজপুর জেলার তেজপাতা।ফলে জেলার চাষিরা তেজপাতা চাষে ক্রমেই আগ্রহ হারাচ্ছেন।অন্যান্য জায়গার তুলনায় উত্তর দিনাজপুর জেলায় তেজপাতা অতুলনীয় তার গন্ধের জন্যই।সেকারণে এক সময় বহু কৃষক অতিরিক্ত লাভের আশায় তেজপাতা চাষ করে জীবিকা নির্বাহ এর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।কিন্তু বিপণন ব্যবস্থা না থাকায় এখন আবার আশানুরূপ দাম তাঁরা পাচ্ছেন না।ফলে একসময়ের লাভজনক তেজপাতা চাষে আর চাষিদের আগ্রহ নেই।
উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ, হেমতাবাদ, কালিয়াগঞ্জ ও ইসলামপুর ব্লকেই বেশি তেজপাতা উৎপাদন হয়।তেজপাতার উপর নির্ভর করে বিকল্প আয় ও কর্মসংস্থানের স্বপ্ন অনেকেই দেখেছিলেন।সরকারিভাবে কোনও সাহায্য না পেলেও এই তেজপাতার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরাও।জেলার ব্লকগুলির মধ্যে হেমতাবাদেই তেজপাতা চাষের আধিক্য দেখা যায়।ব্লকের বিভিন্ন প্রান্তে ছোট বড় নানা ধরনের তেজপাতা বাগান রয়েছে।
এমনকী এখানকার স্বাদে-গন্ধে অতুলনীয় তেজপাতা মুম্বই ও গুজরাত হয়ে বিদেশেও রপ্তানি করেন ব্যবসায়ীরা।চাষিরা জানান, এক বিঘা জমিতে প্রায় ৮০টি তেজপাতা গাছ লাগানো যায়।প্রতি ন’মাস অন্তর প্রতি বিঘায় প্রায় এক কুইন্টাল তেজপাতা পাওয়া যায়।সেগুলি রোদে শুকিয়ে ঝাড়াই বাছাই করে বিক্রি করা যায়।
আরও পড়ুনঃ হাতির হানায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষিফসল,দুঃশ্চিন্তায় স্থানীয়রা
প্রতি বছর জুলাই থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত তেজপাতা কাটার কাজ চলে।চাষিরা আরও জানান কয়েক বছর আগেও তেজপাতার ভালো দাম পেলেও এখন দাম পাওয়া যাচ্ছে না।এর মূল কারণই হল তেজপাতার দামের উপর সরকারের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই।
ফড়েদের কাছে তাদের চাহিদামতো দামে পাতা বিক্রি করে দিতে হচ্ছে।সরকার উদ্যোগী হয়ে এর নির্দিষ্ট দাম বেঁধে দিলে উপকার হতো।এর প্রচুর ভালো বাজার রয়েছে।তবে দাম নির্ধারণের অভাবের জন্যই লাভের মুখ দেখতে পাচ্ছেন না চাষিরা।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584