শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
হাসপাতালে পর্যাপ্ত সুরক্ষাব্যবস্থা ছাড়া করোনার চিকিৎসা শুরু করলে স্বাস্থ্যকর্মীদেরই আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই দাবি তুলে জুনিয়র চিকিৎসক সহ নার্স-সহ স্বাস্থ্যকর্মীদের বিক্ষোভে শুক্রবারই উত্তাল হয়েছিল বাঙুর হাসপাতাল। কিন্তু ২৪ ঘন্টার মধ্যেই সমস্ত আপত্তি উড়িয়ে বাঙুর হাসপাতালকে করোনা চিকিৎসার জন্য নির্দিষ্ট হাসপাতাল হিসাবে চিহ্নিত করল স্বাস্থ্য দফতর।
শুধু বাঙুরই নয়, নির্বাচন করা হয়েছে শহরের আরও ৪ টি হাসপাতালকে। যার মধ্যে রয়েছে এমআরবাঙুর জেলা হাসপাতাল, নিউটাউনের চিত্তরঞ্জন ক্যান্সার ইনস্টিটিউট, সল্টলেক আমরি হাসপাতাল এবং বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল।
আরও পড়ুনঃ লকডাউনে শহরের বাসিন্দাদের মনোবল অটুট রাখতে গান গেয়ে সচেতনতা পুলিশের
এতদিন বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে করোনা রোগীদের চিকিৎসা হত। শুক্রবারই স্বাস্থ্য দফতর থেকে বাঙ্গুর হাসপাতালে নোটিশ পাঠিয়ে জানতে চাওয়া হয়, করোনা চিকিৎসার জন্য এই হাসপাতাল কতটা প্রস্তুত। হাসপাতালের কর্মীদের জন্য যথেষ্ট পিপিই এবং মাস্কের বন্দোবস্তও করা হয়েছে বলে জানানো হয়। তারপরেই শনিবার থেকে এটিকে করোনা হাসপাতাল হিসেবে চালু করে দেওয়া হয়।
এমআর বাঙ্গুর হাসপাতালের পুরনো ও নতুন বিল্ডিং মিলিয়ে মোট ৪০০ রোগী রয়েছেন। এর মধ্যে পুরনো বিল্ডিংয়ে চিকিৎসাধীন অন্তত ৩০০ জন। আবার নতুন বিল্ডিংয়ে রয়েছেন ১০০ জন। হাসপাতালের এই রোগীদের জরুরি ভিত্তিতে শম্ভুনাথ পণ্ডিত, এসএসকেএম এবং পুলিশ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হবে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে।
নবান্নে মুখ্যসচিবের সাংবাদিক বৈঠকের কিছুক্ষণের মধ্যেই স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে একটি বিশেষ বিজ্ঞপ্তি জারি করে কলকাতার কোন কোন হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ থাকা রোগীদের চিকিৎসা হবে তার তালিকা দিয়ে দেওয়া হয়েছে। আপাতত শহরের পাঁচটি হাসপাতালকে চিহ্নিত করেছে স্বাস্থ্য দফতর। সেগুলি হল, এমআর বাঙুর হাসপাতাল ও তার সুপারস্পেশালিটি ভবন, চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল ক্যান্সার ইন্সটিটিউটের নিউ টাউন স্থিত দ্বিতীয় ক্যাম্পাস, বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল এবং সল্টলেকের আমরি হাসপাতালের অ্যানেক্স ভবন। এর মধ্যে এমআর বাঙুরের মূল ভবন ও সুপার স্পেশালিটি ভবনে করোনা আক্রান্ত এবং সংক্রমণের মাঝারি থেকে মারাত্মক পর্যায়ের উপসর্গ রয়েছে ও সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ইলনেস আক্রান্ত (করোনা আক্রান্ত নয়) এই দু’ধরনের রোগীদের চিকিৎসা করা হবে।
চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল ক্যান্সার ইন্সটিটিউটের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসে চিকিৎসা হবে করোনার উপসর্গ থাকা এবং করোনা আক্রান্ত রোগীদের যাঁদের প্রধানত ঝুঁকি কম রয়েছে। অন্যদিকে, যাঁদের ঝুঁকি সর্বোচ্চ এমন করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা হবে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল এবং আমরি হাসপাতালের অ্যানেক্স ভবনে। এছাড়া জেলার ৫৫ টি হাসপাতালকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584