সম্প্রীতি,ধর্মনিরপেক্ষতা ও গণতন্ত্র রক্ষা বিষয়ক আলোচনা চক্র

0
35

নিজস্ব সংবাদদাতা,পূর্ব মেদিনীপুরঃ

‘সম্প্রীতি, ধর্মনিরপেক্ষতা ও গণতন্ত্র রক্ষা’- শীর্ষক একটি আলোচনাচক্র আয়োজিত হল।রবিবার কাঁথি পিপলস ফোরামের উদ্যোগে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি শহরের জুনপুট মোড় পার্শ্ববর্তী ময়দানে আয়োজিত সভায় প্রাক্তন সাংসদ ও আইনজীবী সর্দার আমজাদ আলি বলেন, “ভারতবর্ষের মানুষকে সম্মিলিত হয়ে অনাচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামতে হবে।

the meeting about Secularism | newsfront.co
নিজস্ব চিত্র

রাজ্যে ও দেশে খুন হচ্ছে, লুন্ঠিত হচ্ছে গনতন্ত্রের নামে।কিন্তু এ গনতন্ত্র কিসের? শাসক-শোষকের কাছ থেকে আমাদের অধিকারকে ফিরিয়ে আনতে হবে।” তিনি আরও বলেন, “গনতন্ত্রের যারা সাধক, তাদের কাছে আমাদের কি অধিকারের ভিক্ষা করতে হবে? শান্তিপূর্ণ পরিবেশই হল গনতন্ত্র।সম্প্রীতি ও ধর্মনিরপেক্ষতা সঙ্গে না নিলে গনতন্ত্র বাঁচে না।

দেশের প্রধানমন্ত্রী, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মুখেই শুধু গনতন্ত্রের কথা বলে বেড়াচ্ছে।কিন্তু গনতন্ত্র কোথায়? আজকে দেশের অরাজকতার পরিবেশ তৈরি হয়েছে।কিছু প্রতিবাদ কিংবা সরকারের সমালোচনা করলেই দেশদ্রোহী।তাই গনতন্ত্রকে আমাদের রক্ষা করতে হবে।

আরও পড়ুনঃ উপনির্বাচনে মাওবাদী যোগে তৃণমূলের বিরুদ্ধে গন্ডগোল সৃষ্টির অভিযোগ দিলীপের

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আমার একটাই প্রশ্ন জগন্নাথদেবর মন্দির তৈরি করে দিয়ে হিন্দু বলে নিজেকে প্রতিপন্ন করা যায় না।মুসলমানদের ভাতা দিয়ে ও হজ করার নামে টাকা দিলেই মুসলিম হওয়া যায় না।

তাই আপনার মুখে ধর্মনিরপেক্ষতা কথাটা মানায় না।” এ দিন রাজ্যের প্রাক্তন মেয়র তথা বিশিষ্ট আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “এ রাজ্যে আমাদের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়।তাহলে এটা কি প্রকৃত গনতন্ত্র! বর্তমানে ভারতবর্ষের তিনজন তরুণ আইএস পদত্যাগ করেছে।

তাঁরা বলছে দেশে গনতন্ত্র আর নেই।” তিনি আরও বলেন, “ধর্মনিরপেক্ষতা ভারতবর্ষের মানুষের মজ্জাগত।ভারতবর্ষ হল ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র।সামাজিক ন্যায়, রাজনৈতিক ন্যায়, অর্থনৈতিক ন্যায় এর উপর হস্তক্ষেপ করা যায় না।

ভারতবর্ষে শুধুই মুসলমানরা আক্রান্ত নয়, দলিতরাও দিকে দিকে আক্রান্ত হচ্ছে।পশ্চিমবঙ্গের কোন দল রাজনীতির সঙ্গে ধর্মকে যুক্ত করে নি।২০১১ এর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধর্মকে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত করেছে।

এ রাজ্যে বিভিন্ন পুজো কমিটি, ক্লাবকে টাকা দেওয়া হচ্ছে।অথচ শিক্ষক, নার্স, সরকারি কর্মচারীরা টাকা পাচ্ছে না।ধর্মীয় সুড়সুড়ির মধ্যে তৃণমূল বিভাজনের রাজনীতি করছে।তাই এই ধর্মীয় অনুশাসন মানুষের বিরুদ্ধে একটি চক্রান্ত।

এটা আমাদের রুখে দিতে হবে।” উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার সদস্য সুখবিলাশ বর্মা, কাঁথি পিপলস ফোরামের সভাপতি ক্ষীতিন্দ্র মোহন সায়, সহ-সভাপতি মামুদ হোসেন, সম্পাদক অনিল বরণ মিশ্র, সিপিএমের জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহি, জেলা কমিটির সদস্য আশীষ প্রামাণিক প্রমুখ।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here