বৌভাত অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত দুঃস্থ শিশুরা

0
234

নিজস্ব সংবাদদাতা,পশ্চিম মেদিনীপুরঃ

the miserable children invited on wedding
বর কনের সাথে আমন্ত্রিত দুঃস্থ শিশু কিশোররা।নিজস্ব চিত্র

বিয়ে বাড়ির আনন্দানুষ্ঠানে অনন‍্য নজির তৈরী হলো মেদিনীপুর শহরে।গত ১০ই জুন মেদিনীপুরের নজরগঞ্জ সারদাপল্লী বাসিন্দা নরোত্তম দে ও রত্না দের একমাত্র পুত্র সায়ন দে’র সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন মেদিনীপুর শহরের রবীন্দ্র নগরের বাসিন্দা অরূপ ব্যানার্জি ও মহাশ্বেতা ব্যানার্জির একমাত্র কন্যা অরিত্রিয়া ব্যানার্জি।

the miserable children invited on wedding
বিশিষ্ট অতিথিদের সাথে নবদম্পতি।নিজস্ব চিত্র

বুধবার সন্ধ্যায় জুগুনুতলার মৌমিতা লজে অনুষ্ঠিত হলো বৌভাত অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানে উভয় পরিবারের আত্মীয়দের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন অতিথিরা। পাত্র সায়নের পিতা-মাতার বিশেষ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হয়ে এসেছিল মহতাবপুর ব্লাইন্ড মাদ্রাসা ও স্কুলের আবাসিক জনা পঁচিশেক শিশু-কিশোর।

the miserable children invited on wedding
বৌভাতে আগত আবাসিক শিশু-কিশোররা।নিজস্ব চিত্র

এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে যোগ দিয়ে ঝলমলে বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠানে সামিল হতে পেরে খুশি আবাসিক সুজয় কুমার ঘোষ,সূকুমার হেমরম, লম্বা টুডু, চন্দন মালিক,অজয় মন্ডল,সুনারাম হেমরম, সন্দীপ সরকার সহ অন‍্যান‍্যরা।

ফিস কাটলেট, পনীরভর্তা,পটলচিংড়ি, মাটনকারী, আইসক্রিম সহযোগে অন‍্যান‍্য অতিথিদের সাথে ভুঁড়িভোজে অংশ নিল আবাসিকরা।অন‍্যদিকে বিয়েবাড়ী উপলক্ষ্যে নৃত্য-সঙ্গীত সহযোগে আয়োজিত বিচিত্রানুষ্ঠানও উপভোগ করলো সুজয়, সুকুমার,লবা,চন্দনরা।

আবাসিকদের তত্বাবধায়ক হিসেবে অনুষ্ঠানে আসা ত্রিদেব কাপড়ী জানান, তাঁদের যাতায়াতের টোটো ভাড়াও দে পরিবার দিয়েছেন এবং এরকম একটি আনন্দানুষ্ঠানে যোগ দিতে পেরে তাঁরা খুশি।এই উদ্যোগের মূল হোতা পাত্রের মা মেদিনীপুরের প্রখ‍্যাত বাচিক শিল্পী রত্না দে জানান, তাঁদের পারিবারিক অনুষ্ঠানের আনন্দ আত্মীয়-স্বজন-অতিথিদের পাশাপাশি একটু বৃহত্তর পরিসরে ছড়িয়ে দিতে এই আয়োজন।

রত্নাদেবীদের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে যোগদানকারী লোকসংস্কৃতি গবেষক মধুপ দে, রবীন্দ্র গবেষক ও প্রধান শিক্ষক বিবেকানন্দ চক্রবর্তী, প্রধান শিক্ষক প্রসূন কুমার পড়িয়া,শিক্ষক সুদীপ কুমার খাঁড়াসহ অন‍্যান‍্যরা। বাবা-মায়ের এই উদ্যোগে খুশি পাত্র সায়নও। আর শ্বশুরবাড়ির এই আয়োজনে আপ্লুত নববধূ অরিত্রিয়াও।

উল্লেখ্য মাস কয়েক আগে নিজেদের বিয়ের অষ্টমঙ্গলার সময় রান্না করা খাবার প‍্যাকেট বন্দীকরে মেদিনীপুরের প্রায় পঞ্চাশ জন দুঃস্থ অসহায় মানুষকে খায়িয়েছিলেন নৃত্যশিল্পী তপস্বিনী ভট্টাচার্য ও তাঁর স্বামী ইন্দ্রনীল মাইতি। বর্তমানে মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম শহরের উৎসব অনুষ্ঠানে খাবার বেঁচে গেলে অনেকেই তা বিলিয়ে দেন দুঃস্থদের মধ্যে। এই কাজে মেদিনীপুরে সহায়তা করেন “মেদিনীপুর ছাত্র সমাজের”সদস্যরা ,আর ঝাড়গ্রামে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন “ঝাড়গ্রাম ব‍্যাড বয় ফাউন্ডেশন”এর কর্মীরা।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here