সুদীপ পাল, বর্ধমানঃ
২০০৭ সালে তৎকালীন রেলমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদব দুর্গাপুরে রেল উড়ালপুলের শিলান্যাস করতে এসে আশ্বাস দিয়েছিলেন দুর্গাপুর হাওড়া লোকাল ট্রেন চালু হবে।
পরে ২০০৮ সালে তৎকালীন রেলওয়ে স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান বাসুদেব আচারিয়া বলেছিলেন, দুর্গাপুরে টার্মিনাল নেই, তাই ঠিক হয়েছে আসানসোল থেকে দুর্গাপুর ট্রেন ফাঁকা আসবে। পরের ধাপে দুর্গাপুর থেকে যাত্রী নিয়ে ট্রেনটি হাওড়া যাবে।
তবে দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও দুর্গাপুর হাওড়া ট্রেন পরিষেবা চালুর কোনও সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। দুর্গাপুরের বাসিন্দারা অবশ্য বলছেন, বর্ধমান থেকে আসানসোল লোকাল ট্রেন রয়েছে। তাছাড়া নেতাজি সুভাষ জংশন বা গোমো-পুরুলিয়া লোকাল রয়েছে বর্ধমান থেকেই।
আরও পড়ুনঃ একমাসে দুবার চুরির প্রতিবাদে সোচ্চার শিক্ষার্থীরা
সেরকমই যদি হাওড়া লোকাল চালু হতো, তবে দুর্গাপুরের রেল যাত্রীরা উপকৃত হতেন, কারণ লোকাল ট্রেনে হাওড়া যেতে হলে বর্ধমানে নেমে আবার ট্রেন পরিবর্তন করতে হয়। দুর্গাপুর থেকে ট্রেন চালু হলে সেটা আর করতে হতো না।
দুর্গাপুরের বাসিন্দারা আশা করছেন দুর্গাপুর-হাওড়া ট্রেন চালু হবে। যদিও ২০১৭ সালে রেল মন্ত্রক জানিয়েছিল, দুর্গাপুর হাওড়া ট্রেন পরিষেবা চালু হলে বিষয়টি হয়তো তেমন লাভজনক হবে না। দুর্গাপুরের বাসিন্দাদের মতে, দুর্গাপুরে ইয়ার্ড না থাকলেও স্টেশন থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে রয়েছে ডিপিএলের ইয়ার্ড।
আরও পড়ুনঃ জটেশ্বরে সমতা কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা দিবস উদযাপন
লোকাল ট্রেন রক্ষণাবেক্ষণের জন্য তা ব্যবহার করা যেতে পারে। পূর্ব রেলের আসানসোল ডিভিশনের জনসংযোগ আধিকারিক রাহুল রঞ্জন বলেন, আপাতত দুর্গাপুর-হাওড়া ট্রেন চলাচলের সম্ভাবনা বিশেষ নেই।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584