যাত্রী প্রতীক্ষালয়ের উপর থেকে খসে পড়ল চাঁই, অল্পের জন্য বাঁচল প্রাণ

0
47

নিজস্ব সংবাদদাতা, পশ্চিম মেদিনীপুরঃ

দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় রয়েছে খাকুড়দার যাত্রী প্রতীক্ষালয়টি। বিপজ্জনকজেনেও নজর নেই প্রশাসনের। আর এই যাত্রী প্রতীক্ষালয়ে এখনও ঝুঁকি নিয়ে বাসের জন্য প্রতীক্ষায় থাকেন যাত্রীরা।

person safe in tourist waiting room | newsfront.co
নিজস্ব চিত্র

বহুদিনের পুরনো এই যাত্রী প্রতীক্ষালয়টি দ্বিতল বিশিষ্ট। উপরের তলায় বিভিন্ন সময় পশ্চিম মেদিনীপুরের খাকুড়দার বাজার কমিটি মিটিং এ বসতেন। এখন তা ব্যবহারের অযোগ্য হওয়ায় প্রায় বছর দশেক হল বন্ধ রয়েছে। আর নীচের তলে যাত্রী সেট বিশিষ্ট যে প্রতীক্ষালয়টি রয়েছে তার অবস্থাও ঠিক একইভাবে বিপদজনক।

প্রসঙ্গত বেশ কিছুদিন আগে যাত্রী প্রতীক্ষালয় অপরের থেকে পাকারের চাঁই খসে পড়ে আহত হন দুজন যাত্রী। তাঁদেরকে স্থানীয় চিকিৎসালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

local person | newsfront.co
স্বপন দাশ, স্থানীয় বাসিন্দা। নিজস্ব চিত্র

এরপরে বিক্ষুব্ধ জনতা ও এলাকাবাসীরা সেটিকে ভেঙে দেওয়ার ও সারাইয়ের জন্য রাস্তা অবরোধ করেন। বেশ কিছুক্ষণ অবরোধ চলার পর ঘটনাস্থলে হাজির হন পুলিশ প্রশাসনের আধিকারিকরা। প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন কাজটি করে দেওয়ার। এরপরে তৎকালীন বিডিও মানিক কুমার সিংহ মহাপাত্র এসে তা পরিদর্শন করেন।

person safe in tourist waiting room | newsfront.co
চাঁই এর গুঁড়ো। নিজস্ব চিত্র

আরও পড়ুনঃ মাসীর বাড়ি বেড়াতে গিয়ে সলিলসমাধি শাকিলের

১২ নং তুতরাঙা অঞ্চলে অবস্থিত হওয়ায় এই যাত্রী প্রতীক্ষালয়টিতে সে সময় বিপজ্জনকএকটি বোর্ড লাগিয়ে দেয় অঞ্চল কর্তৃপক্ষ। উক্ত অঞ্চলের প্রধান প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন কাজটি করে দেওয়ার। কিন্তু তা হয়নি। উপরন্তু ওই চাঁই সরিয়ে যাত্রীরা তাঁদের বসার জায়গা করে নেন।

এই সোমবার যাত্রীরা ওই প্রতীক্ষালয়ে অপেক্ষা করার সময় পুনরায় উপর থেকে চাঁই খসে পড়ে। এতে একজন সামান্য আহত হন। তবে বরাত জোরে বেঁচে যান অনেকেই। কারণ যে পরিমাণ চাঁই উপর থেকে খসে পরেছে তার নীচে যাত্রীরা যদি বেশি সংখ্যক থাকতেন ঘটনা অন্যদিকে গড়াতো বলে মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

এত বিপজ্জনক হওয়া সত্ত্বেও কেন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না স্থানীয় বিডিও বা অঞ্চল আধিকারিকরা তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। প্রকাশ্যে না হলেও এ নিয়ে একপ্রকার ক্ষুব্ধ এলাকার বাসিন্দারা।

তাঁদের প্রশ্ন আর কত বড় বিপদ হলে নজর পড়বে প্রশাসনের। অনেকে চাইছেন নতুন করে না গড়লেও অন্ততপক্ষে এই বিপজ্জনক বাড়িটিকে ভেঙে ফেলা হোক। সূত্রের খবর, এ নিয়ে ভবিষ্যতে বৃহত্তর আন্দোলনে যেতে পারেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাতে বিপদ হলে দায়ী থাকবে প্রশাসনই- মনে করছেন তাঁরা।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here