তপন চক্রবর্তী,উত্তর দিনাজপুরঃ
গ্রামে গঞ্জে বিভিন্ন খেলাধুলার প্রসারে দীর্ঘ দিন ধরেই উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ ব্লকের টেনহরি অগ্রগামী সোসাইটি একটি উল্লেখযোগ্য নাম।আবার অন্যদিকে এই গ্রামেই মনসা পূজার ক্ষেত্রে উত্তর দিনাজপুর জেলার একটি বিখ্যাত টেনহরির মনসা মন্দির হিসাবে খ্যাত।ক্রীড়া ক্ষেত্রে গ্রাম বাংলার প্রতিভাবান ছেলেমেয়েরা কোনভাবেই পিছিয়ে না থাকে,তাদেরকে বিভিন্ন খেলায় প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে টেনহরি অগ্রগামী সোসাইটি।
রবিবার টেনহরি অগ্রগামী সোসাইটির সম্পাদক শঙ্কর চন্দ্র দাস বলেন রবিবার থেকে তাদের অগ্রগামী সোসাইটিতে একই সাথে শতাধিক কচিকাঁচাদের নিয়ে শুরু হলো বিভিন্ন বিভাগের খেলাধুলার প্রশিক্ষণ শিবির।এই ক্রীড়া শিবির নিয়মিতভাবে চলবে বলে জানালেন টেনহরি অগ্রগামী সোসাইটির সম্পাদক শঙ্কর চন্দ্র দাস।
আরও পড়ুনঃ কোচবিহার জেনকিন্স স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা
তিনি বলেন “একই সাথে ভলিবল,ফুটবলের এবং এথেলেটিক্স প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।গ্রাম বাংলার আনাচে কানাচে অনেক প্রতিভা আছে।আমরা যদি সত্যি সত্যিই আন্তরিকতার সাথে ওদেরকে মাঠে নামতে পারি আমরা নিশ্চিত সাফল্য পাবো।” আবার সম্পাদক দুঃখ করে বললেন, “আমাদের গ্রামের ছেলেমেয়েদের খেলাধুলায় যথেষ্টই উৎসাহ আছে,সামান্য একটু প্রশিক্ষণ দিলেই ধরে ফেলে সহজেই কিন্তু আর্থিক দিক থেকে এরা প্রত্যেকেই দুর্বল।এই দুর্বলদের খেলাধুলার মাধ্যমে আমরা সবল করবার শপথ নিয়েছি।আমাদের প্রয়োজন বেশ কয়েকজন কোচ। বিনা পারিশ্রমিকে দুইজন কোচ এই সমস্ত গ্রামের ছেলেমেয়েদের উৎসাহের সাথে ফুটবল,ভলিবল ও এথেলেটিক্সের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকেন গুরু প্রসাদ ঠাকুর এবং অনুপ কেরকেটটা।এরা আন্তরিকতার সাথে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে বলেই আমাদের অগ্রগামী সোসাইটির এই দায়িত্বপূর্ণ কাজ করতে পারছি।এখান থেকে ভালো মহিলা ফুটবলার,ভলিবল খেলোয়াড় ও এথেলটিক্সের ছেলে মেয়েরা প্ৰতি বছরই বের হচ্ছে।সরকার থেকে যদি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় আমাদের টেনহরি অগ্রগামী সোসাইটি গ্রামের থেকেই অনেক প্রতিভা খুঁজে বের করতে সক্ষম হবে।” এই উদীয়মান খেলোয়াড়দের এগিয়ে নিয়ে যেতে চেষ্টার ত্রুটি রাখতে চাইছেন না কেউই।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584