শ্যামল রায়,নদীয়াঃ
লোকসভা ভোট শেষ হতেই কৃষ্ণনগর পৌরসভার ভোটের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেল বলে তৃণমূল সূত্রে খবর।ইতিমধ্যে ভোটারদের সাথে জনসংযোগ বাড়ার ওপর জোর দিয়েছেন তৃণমূল নেতারা।গত ডিসেম্বর মাসে কৃষ্ণনগর পৌরসভার প্রথম নির্বাচিত ভোটের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে।তৃণমূলের জেলা সভাপতি গৌরীশঙ্কর দত্ত জানান, “আমরা প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছি। সাত দিনের নোটিফিকেশনে আমরা নির্বাচনে ব্যয় করতে পারব বলে আমরা আশাবাদী।”
আরো জানা গিয়েছে যে কৃষ্ণনগর পৌরসভার ২৪ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২২ টিতে তৃণমূল কংগ্রেস জয়লাভ করেছিল ২০১৩ সালে।দুটি ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছিলেন দু’জন নির্দল কাউন্সিলর।
আরও পড়ুনঃ কালিয়াগঞ্জ ব্লকে ভোটের প্রস্তুতি তদারকিতে দুই পর্যবেক্ষক
গত ডিসেম্বর মাসে পৌরবোর্ড এর মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। প্রশাসক পৌরসভার কাজ কর্ম চালাচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে।মহকুমাশাসক অমিত তালুকদার জানিয়েছেন যে, প্রাক্তন চেয়ারম্যান অসীম সাহা,চিকিৎসক রবি মুখোপাধ্যায়কে অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সদস্য হিসেবে নিয়োগ করা হয়।বর্তমান লোকসভা ভোট শেষ হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই জনসংযোগ বাড়ানোর জন্য রক্তদান শিবির ফুটবল টুর্নামেন্ট সহ বিভিন্ন ধরনের আয়োজন করে চলছেন বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলাররা।
জানা গিয়েছে যে ২০১৪ সালের লোকসভা ও ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে শাসক দল পৌর এলাকায় পিছিয়ে ছিল,গত লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল পিছিয়ে থাকলেও এবারের লোকসভা নির্বাচনে তারা আবার আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।তবে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে ভোটারদের কাছে।ইতিমধ্যে লোকসভা ভোট পর্ব চলাকালীন কৃষ্ণনগর পৌরসভার ২৪ টি ওয়ার্ড এর চূড়ান্ত সংরক্ষণ তালিকা প্রকাশিত হয়ে গিয়েছে।তার সাথে এবার একটি ওয়ার্ডের সংখ্যাও বেড়েছে ২৪ থেকে ২৫ টি হয়েছে।
তবে কৃষ্ণনগর পৌরসভা তৃণমূল কংগ্রেস ধরে রাখার জন্য প্রধান সৈনিক অসীম সাহা উঠে পড়ে লেগেছেন।প্রাক্তন চেয়ারম্যান অসীম সাহা জানিয়ে দিয়েছেন যে লিড দেওয়াটাই তাদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।
ইতিমধ্যেই ব্যাপক উন্নয়নমুখী কাজ হয়েছে পৌরসভা এলাকায় তাই প্রধান কাজ জনসংযোগ বাড়ানো,এমনটাই মনে করেন তিনি।অন্যদিকে বিরোধীরাও দাবি করেছে কৃষ্ণনগর পৌরসভা হাতছাড়া হবে তৃণমূলের।শেষ মুহূর্তে প্রচারের পরে আদতে করা শক্ত মাটি পাই তা নির্ধারণ করবে পুরবাসী।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584