নিজস্ব সংবাদদাতা, পশ্চিম মেদিনীপুরঃ
জেলায় ক্রমেই বাড়ছে ডেঙ্গুর থাবা৷ জেলাতে এখনই আটশোর বেশি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত। সংখ্যা আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা৷
সেই সঙ্গে নতুন বিপদ হিসেবে সংযোজিত হয়েছে– স্ক্রাব টাইফাসের ভাইরাস৷ পশ্চিম মেদিনীপুরে এই রোগে প্রায় চারশোর বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন৷ আক্রান্তরা জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি৷ স্বাস্থ্য কর্তারা জানাচ্ছেন, চিকিত্সা করালে এই সমস্যার সমাধান হবে ৷ তবে দুই ভাইরাসের কবলে পড়ে জেলার স্বাস্থ্য কর্তারাও উদ্বিগ্ন৷
জেলার স্বাস্থ্য দফতরের সরকারি হিসেবে, গত বছর পশ্চিম মেদিনীপুরে প্রায় সাড়ে সাতশো মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। এই বছর পুরো ডিসেম্বর মাস বাকি থাকলেও এখনই ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে আটশোর বেশি৷ পশ্চিম মেদিনীপুরের বিভিন্ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও হাসপাতালে তারা ভর্তি রয়েছেন৷ পাশাপাশি বেসরকারি হাসাপাতালেও রয়েছে আক্রান্তের ভিড়।
আরও পড়ুনঃ বৃদ্ধা বিজেপি কর্মীকে মারধর তৃণমূলের বিরুদ্ধে
সব মিলিয়ে বেসরকারি হিসেবে ধরতে গেলে জেলাতে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত দাঁড়াবে এক হাজারেরও বেশি৷ কী কারণে আক্রান্তের সংখ্যা এত বেশি, তার ব্যাখ্যায় জেলার মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ গিরিশচন্দ্র বেরা জানান, আগের তুলনায় ডেঙ্গু পরীক্ষা অনেক বেড়েছে৷ আগে শুধুমাত্র মেদিনীপুর মেডিকেলে হতো। এখন ঘাটাল ও খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালেও হচ্ছে৷ এছাড়াও অনুমোদিত কিছু প্রাইভেট এজেন্সিও পরীক্ষা করাচ্ছে৷
আরও পড়ুনঃ প্রিয়াঙ্কার সাথে শহরের রাস্তায় মেডিকেল কলেজের ডাক্তাররা
রোগ নির্ণয়ের সুবিধা বেড়ে যাওয়াতে সংক্রমণের সংখ্যা বেশি জানা যাচ্ছে। তবে সরকারি হিসেবে এখনও এই জেলাতে ডেঙ্গুতে মৃত্যু নেই বলেই জানাচ্ছে স্বাস্থ্য দফতর৷ তবে পুরসভা ও পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে প্রতিরোধী ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়েছে৷
তবে স্বাস্থ্য দফতরের আরও একটি বড়ো মাথা ব্যাথার কারণ হল স্ক্রাব টাইফাসের থাবা৷ জেলা জুড়ে চারশোর বেশি মানুষ এই ভাইরাসের দ্বারা আক্রান্ত হয়ে ভর্তি বিভিন্ন হাসপাতালে৷ শালবনী, কেশপুর, মেদিনীপুর-সহ গড়বেতা ১,২,৩ ব্লকে এই আক্রান্তের সংখ্যা বেশি৷ তাই কোথাও জ্বর মনে হলেই মেদিনীপুর মেডিকেলে রোগীকে পাঠিয়ে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করা হচ্ছে।
মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ গিরিশচন্দ্র বেরা আরও বলেন, এই সমস্যা জেলা জুড়ে দেখা দিয়েছে ৷ ডাক্তারবাবুদের সতর্ক করা হয়েছে ৷ এই চিকিত্সা খুবই সহজ চিকিত্সা ৷
চিকিত্সা করালেই এই রোগ ভালো হয়ে যাবে৷ এতে আতঙ্কের কিছু নেই। তবে মানুষকে ঝোপঝাড় থেকে সাবধানে থাকতে হবে৷ স্ক্রাব টাইফাস সেখানেই ছড়ায়, যেখানে এই পোকাগুলো থাকে৷ পোকা কামড়ালেই রোগ ছড়ায়৷
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584